মালদহ: ১২ বছরের নাতনিকে খুনের অভিযোগ ঠাকুমা, ঠাকুরদা ও কাকার বিরুদ্ধে। ঘটনাটি মালদহ জেলার হরিশ্চন্দ্রপুরের মিলনগড় গ্রামের। মৃত নাবালিকার মা তাজখিরার দায়ের করা অভিযোগের ভিত্তিতে রবিবার বাড়ির সামনেই কবর খুঁড়ে নাবালিকার মৃতদেহটি উদ্ধার করে পুলিশ। নাবালিকার দেহটিকে মালদা মেডিক্যাল কলেজে পাঠানো হয় ময়নাতদন্তের জন্য। যদিও অভিযুক্তেরা পলাতক। তাঁদের খোঁজে তল্লাশি শুরু করেছে হরিশ্চন্দ্রপুর থানার পুলিশ।
মৃত নাবালিকার মায়ের অভিযোগ ঠাকুমা, ঠাকুরদা ও কাকা মিলে তাঁর মেয়েকে খুন করেছে। জানা গিয়েছে, গত ঘটনাটি ১০ দিন আগের। মিলন গড় গ্রামের কৃষক পরিবারের বধু তাজখিরা বেগম এবং তাঁর স্বামী ছোটো মেয়েকে নিয়ে সকালে জমিতে কাজে গিয়েছিলেন। তাঁরা যখন জমিতে কাজ করছিলেন সেই সময় গ্রামের এক ব্যক্তি এসে খবর দেয় যে তাঁদের মেয়ে বছর ১২ নাবালিকা ডলি খাতুন আত্মহত্যা করেছে।
আরও পড়ুন: আউশগ্রামে পঞ্চায়েত প্রধানের ছেলেকে খুনের ঘটনায় গ্রেফতার আরও এক তৃণমূল নেতা
তাজখিরা এবং তাঁর স্বামী খবর পাওয়ার সঙ্গে সঙ্গে বাড়িতে এসে দেখেন মৃত অবস্থায় মেয়েকে মাটিতে শুইয়ে রাখা হয়েছে। তারপর নাবালিকার ঠাকুমা, ঠাকুরদাদা কাকা মিলে ডলিকে বাড়ির কাছেই কবর দিয়ে দেয়। যদিও পুলিশকে সেই মুহূর্তে কোনও খবর দেওয়া হয় নি।
গত শুক্রবার তাজখিরার সঙ্গে পারিবারিক কারণে শ্বশুরবাড়ির লোকেদের বচসা হয়। সেই বচসার সময় শ্বশুরবাড়ির লোকেরা তাজখিরাকে বলে যে যেভাবে তাঁর বড়ো মেয়েকে খুন করা হয়েছে ঠিক সেই ভাবে তাঁকে এবং তাঁর ছোট মেয়েকেও খুন করা হবে। এই কথা শুনে তাজখিরা বাড়ি থেকে পালিয়ে বাপের বাড়িতে চলে আসেন। তারপর হরিশ্চন্দ্রপুর থানাতে শ্বশুর, শাশুড়ী এবং দেওরের বিরুদ্ধে লিখিত অভিযোগ করেন তাজখিরা।
আরও পড়ুন: মা’কে খুন করে ২ বছর বাড়ির বারান্দায় পুঁতে রাখল ছেলে, গ্রেফতার অভিযুক্ত
সেই অভিযোগের ভিত্তিতে রবিবার সকালে হরিশ্চন্দ্রপুর থানার পুলিশ এবং বিডিও গিয়ে কবর খুঁড়ে ডলির মৃতদেহ বার করে। পুলিশ তদন্ত শুরু করেছে। তাজখিরার পরপর দুটি কন্যা সন্তান হওয়ার জন্য শ্বশুরবাড়ির লোকেরা এই খুন করে থাকতে পারে অনুমান করা হচ্ছে।