গঙ্গার ভাঙন দেখতে গিয়ে মুর্শিদাবাদের (murshidabad) সামসেরগঞ্জে স্থানীয়দের বিক্ষোভের মুখে পড়লেন সেচ দফতরের প্রতিমন্ত্রী সাবিনা ইয়াসমিন (Sabina Yeasmin)। মন্ত্রীর সামনেই দুই দল গ্রামবাসীর মধ্যে মারামারি শুরু হয়ে যায়। চলে ইটবৃষ্টি। ইটের ঘায়ে একজনের মাথা ফেটে যায়। পুলিশ তড়িঘড়ি মন্ত্রীকে নৌকা করে অন্যত্র নিয়ে যায়।
এদিন সামসেরগঞ্জের প্রতাপগঞ্জে গঙ্গার ভাঙন দেখতে আসেন সেচ প্রতিমন্ত্রী সাবিনা ইয়াসমিন। সঙ্গে ছিলেন জঙ্গিপুরের এসডিও শিঞ্জন শেখর, স্থানীয় বিধায়ক আমিরুল ইসলাম, বিডিও কৃষ্ণচন্দ্র মুণ্ডা প্রমুখ। মন্ত্রীকে দেখেই ক্ষোভে ফেটে পড়েন স্থানীয় কয়েকজন। তৃণমূলের পতাকা হাতে কিছু যুবক তাঁদের বাধা দেন। তার পরেই দুই পক্ষের মধ্যে হাতাহাতি শুরু হয়, চলে ইটবৃষ্টি। মন্ত্রীকে দ্রুত সরিয়ে নিয়ে যায় পুলিশ।
পরে সামসেরগঞ্জের তৃণমূল বিধায়ক আমিরুল ইসলাম বলে্ন, সেচ প্রতিমন্ত্রী ভাঙন দেখতে এসেছিলেন। তখন সিপিএমের কিছু গুন্ডা মুখ্যমন্ত্রীর নাম করে অশালীন কথাবার্তা বলে। আমাদের ছেলেরা বাধা দিতে গেলে দুই পক্ষের মধ্যে হাতাহাতি হয়। আসলে সামসেরগঞ্জে সিপিএমের পায়ের তলা থেকে মাটি সরে গিয়েছে। তাই গুন্ডামি করে তারা জমি দখল করতে চাইছে। সিপিএমের লোকজন ইট ছুড়লে আমাদের এক কর্মীর মাথা ফেটে যায়। সিপিএমের উদ্দেশে বিধায়কের হুঁশিয়ারি, আগুন নিয়ে খেলবেন না। সেই আগুনে নিজেরাই পুড়বেন। শান্ত সামসেরগঞ্জকে অশান্ত করার চেষ্টা করে লাভ হবে না।
সেচ প্রতিমন্ত্রী সাবিনা ইয়াসমিন বলেন, মুর্শিদাবাদ এবং মালদহে গঙ্গার ভাঙন একটা বড় সমস্যা। কেন্দ্রীয় সরকার ভাঙন প্রতিরোধের জন্য রাজ্য সরকারকে একটা পয়সা দেয় না। কাজ যা করার, তৃণমূল সরকার করছে, মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় করছেন। মন্ত্রী বলেন, কিছুদিন আগে বিজেপির এক বিধায়ক এখানে এসে রাজ্য সরকারের নিন্দা করে গেলেন। তাঁকে বলছি, আপনি কেন্দ্রীয় সরকারকে বলে ভাঙন রুখতে বাঁধ দেওয়ার জন্য টাকার ব্যবস্থা করুন। তা না করে বিজেপি ঘোলা জলে মাছ ধরার চেষ্টা করছে। ভাঙন নিয়েও বিজেপি রাজনীতি করছে।