কৃষ্ণগঞ্জ : উদ্দেশ্যহীন ভাবেই রাস্তায় ঘোরাঘুরি করছে একটি শিশু। তাকে দেখে প্রথমে সন্দেহ হয় সেখানে কর্মরত পুলিশের। পরে তাকে সেখান থেকে উদ্ধার করে চাইল্ড লাইনের হাতে তুলে দেয় নদিয়ার কৃষ্ণগঞ্জ থানার পুলিশ।
আরও পড়ুন : উদ্বেগ বাড়িয়ে রাজ্যে ফের ঊর্ধ্বমুখী সংক্রমণ, বাড়ল মৃতের সংখ্যা
বুধবার সন্ধ্যে বেলায় ভারত বাংলাদেশ সীমান্তবর্তী কৃষ্ণগঞ্জ থানার স্বর্ণখালী বাজার এলাকায় একটি শিশুকে উদ্দেশ্যহীন ভাবে ঘোরাঘুরি করতে দেখে সন্দেহ হয় থানার কর্মরত পুলিশ কর্মীদের। এরপর শিশুটির কাছে তার নাম ঠিকানা জানতে চায় পুলিশ। কিন্তু তার অসংলগ্ন কথায় সন্দেহ হয় পুলিশের। শিশুটি জানায়, তার নাম পচা রায়। শিশুটি মানসিক ভারসাম্যহীন হতে পারে বলে সন্দেহ হয় পুলিশকর্মীদের। তারা জানতে পারে যে, তার বাড়ি নবদ্বীপ থানার মায়াপুর শোনডাঙ্গা গ্রামের নির্মল পল্লী এলাকায়। শিশুটি পুলিশকে তার বাবা ও মায়ের সম্পর্কে জানিয়ে বলে, তার বাবার নাম বিষ্ণু রায় ও মায়ের নাম অনিমা রায়। বাবা পেশায় একজন রিকশাচালক। বর্তমানে অসুস্থ হয়ে বাড়িতেই থাকেন।
আরও পড়ুন : প্রকাশ্যে গোষ্ঠীদ্বন্দ্ব, দলের কর্মীদের হাতে আক্রান্ত যুব তৃণমূল নেতা
কিভাবে সে কৃষ্ণগঞ্জে এসে পৌঁছল সে, জিজ্ঞাসা করা হলে ছেলেটি বলে, সে ঘুরতে ঘুরতে এখানে চলে এসেছে। কিন্তু পরক্ষনেই আবার বলে যে, দিদির বাড়িতে এসেছে। ছেলেটির এই ধরণের অসংলগ্ন কথাবার্তা শুনে প্রাথমিকভাবে তাকে মানসিক রোগী বলে মনে হয় পুলিশের। এরপর কৃষ্ণগঞ্জ থানার পক্ষ থেকে খবর দেওয়া হয় নদিয়ার চাইল্ডলাইনে। খবর পেয়ে চাইল্ড লাইনের কর্মীরা থানায় পৌঁছে সব রকম নিয়ম মেনেই পদ্ধতির মধ্য দিয়ে শিশুটিকে নিজেদের হেফাজতে নেওয়ার পর দত্তপুলিয়া করিমপুর চাইল্ড লাইন হোমে নিয়ে যায়। এরপর চাইল্ড লাইনের পক্ষ থেকে শিশুটির পরিবারের সঙ্গে যোগাযোগ করা হয়। তার পারিবারিক পরিস্থিতি স্বাভাবিক না হলে পরিবারের হাতে তুলে না দিয়ে ছেলেটির সম্পূর্ণ দায়িত্ব নেবে চাইল্ড লাইন, জানিয়েছেন চাইল্ড লাইনের সদস্যরা।