কলকাতা: হাওড়া পুরভোট নিয়ে জট কাটল। রাজ্যপাল জগদীপ ধনখড় (Jagdeep Dhankhar) হাওড়া পুরসভা (Howrah Municipal Corporation) সংশোধনী বিল ২০২১-এ সই করেছেন। রাজ্য নির্বাচন কমিশনের তরফে হাই কোর্টে দেওয়া হলফনামায় এ কথা জানানো হয়েছে। রাজ্যপাল (Jagdeep Dhankhar) এই সংশোধনী বিলে সই করায় সেটি আইনে পরিণত হয়েছে। এর ফলে হাওড়া পুরভোট নিয়ে আর কোনও জটিলতা থাকল না।
তৃণমূল ক্ষমতায় আসার পর ২০১৫ সালের জুলাই মাসে বালি এবং হাওড়া পুরসভার সংযুক্তিকরণ করে। বালির ৩৫টি ওয়ার্ড পুনর্বিন্যাসের ফলে ১৬-তে এসে দাঁড়ায়। এর ফলে বালি এলাকার বাসিন্দারা কিছুটা ক্ষুব্ধ হয়েছিলেন। যার ফল ভোটবাক্সে গিয়ে পড়ে। ২০১৯-এর লোকসভা নির্বাচনের নিরিখে পুরসভার ১৬টি ওয়ার্ডের মধ্যে ৭টি ওয়ার্ডে পিছিয়ে ছিল তৃণমূল। এর পরই এ নিয়ে তৃণমূলের অন্দরে আলোচনা হয়।
মাসকয়েক আগে রাজ্য মন্ত্রিসভার বৈঠকে ১৩২ বছরের বালি পুরসভাকে হাওড়া কর্পোরেশন থেকে বিচ্ছিন্ন করার সিদ্ধান্ত হয়। বিধানসভার শীতকালীন অধিবেশনে হাওড়া পুরসভা সংশোধনী বিল ২০২১ পাস হয়। ওই বিলে বালির ১৬টি ওয়ার্ড হাওড়া পুরসভার ৫০টি ওয়ার্ডের পুনর্বিন্যাসের কথা রয়েছে। এই বিল রাজ্য সরকারের তরফে রাজভবনে পাঠানো হয়।
রাজ্যপাল এ বিষয়ে বিস্তারিত তথ্য চান সরকারের কাছে। এর পরেই বিধানসভার পক্ষ থেকে হাওড়া পুরসভা সংশোধনী বিলের যাবতীয় তথ্য পাঠিয়ে দেওয়া হয় রাজ্যপালের কাছে। তা সত্ত্বেও রাজ্যপাল বিলে সই না করায়, হাওড়া পুরভোট করানো নিয়ে সমস্যায় পড়ে রাজ্য নির্বাচন কমিশন। কলকাতা এবং হাওড়া পুরভোট একসঙ্গে করার ইচ্ছা ছিল রাজ্য নির্বাচন কমিশনের।
কিন্তু রাজ্যপাল বিলে সই না করায় আটকে যায় হাওড়া পুরভোট। শেষ পর্যন্ত কলকাতা পুরসভা ভোটের দিনক্ষণ ঘোষণা করে কমিশন। ১৯ ডিসেম্বর কলকাতায় ভোট হয়েছে। বাকি পুরসভাগুলির ভোট নিয়ে বৃহস্পতিবার আদালতে হলফনামা জমা দেয় কমিশন। সেখানেই উল্লেখ করা হয় হাওড়া পুরসভা সংশোধনী বিল ২০২১-এ সই করেছেন রাজ্যপাল।