কলকাতা : শুভেন্দু অধিকারীর (Suvendu Adhikary) নেতৃত্বাধীন বিজেপির প্রতিনিধ দল দেখা করার যাওয়ার আধ ঘণ্টাও কাটল না । তার মধ্যেই রাজ্য সরকারকে নিশানা করলেন রাজ্যপাল জগদীপ ধনখড় (Jagdeep Dhankar) । রাজ্যের পরিস্থিতি জরুরি অবস্থার মতো বলে ফের একবার রাজ্যকে আক্রমণ করলেন । মাত্র কয়েক মুহূর্ত আগে বিজেপির (BJP) প্রতিনিধি দল বা শুভেন্দু অধিকারীর মতো নেতারা যে ভাষাতে রাজ্যকে আক্রমণ করেছিলেন, তারই প্রতিধ্বনি শোনা গেল রাজ্যের সাংবিধানিক প্রধানের গলাতেও ।
বিজেপি প্রতিনিধি দল বিধায়ক হস্টেলে বিধায়ককে আটকে থাকার বিষয়টি নিয়ে সরব হয়েছিলেন । রাজ্যপালও একই ভাবে বিষয়টি নেয়ে মুখ খুললেন । কিন্তু, কী কারণে বিধায়ক হস্টেলে ওই ঘটনা ঘটেছিল, তার কোনও তথ্য তুলে ধরতে পারলেন না রাজ্যপাল । টুইট দেখেই বোঝা গেল তিনি বিজেপির প্রতিনিধি দল যে ভাবে তাঁর সমানে তথ্য তুলে ধরেছিল, তিনিও সেটাই টুইট করে দিলেন ।
পরের অভিযোগটা করলেন, কলকাতার মানুষ ভোট দিতে না পারার কথা । ঠিক যেমন ভাবে গোটা দিন ভোটের ময়দানে না থাকা বিজেপি নেতারা সাংবাদিক বৈঠক করে নিজেদের উপস্থিতি দেখানোর চেষ্টা করেছিলেন । যখন নির্বাচন কমিশন স্পষ্ট জানিয়ে দিয়েছিল, দু-একটা ঘটনা ছাড়া পুরভোটে কোনও হিংসার ঘটনা ঘটেনি । ছাপ্পা-রিগিংয়ের কোনও অভিযোগ নেই, তখনও বিজেপি বার বার ছাপ্পা ভোটের অভিযোগ করে গেল । ভোটের ময়দানে প্রচারের সময় যেমন তাদের দেখা যায়নি, তেমনই আজও সারা দিন দেখা গেল না তাদের । আর সেই বিজেপি নেতারা ছাপ্পা ভোটের অভিযোগ করে গেলেন । আর সেই বিজেপি প্রতিনিধি দলের সঙ্গে দেখা করার পর রাজ্যপাল তুললেন ছাপ্পা ভোটের অভিযোগ । তথ্য বলছে, এ দিন সকালেও নিরাপত্তা রক্ষীকে দূরে রেখে শান্তিতে ভোট দিয়েছিলেন এই রাজ্যপাল ।
আবার, যতক্ষণ বিজেপি প্রতিনিধি দলটি রাজভবনের দরজায় পৌঁছননি, ততক্ষণ কোনও টুইট ছিল না রাজ্যের সাংবিধানিক প্রধানের । কিন্তু, বিজেপির প্রতিনিধি দলটি দেখার করার মাত্র ১৭ মিনিটের মধ্যে টুইট করে রাজ্য সরকারকে (বলা ভাল বিজেপির সুরে সুর মিলিয়ে) আক্রমণ করলেন তিনি । কিন্তু, সাংবিধানিক প্রধান হিসেবে শুধুমাত্র একটি দলের কথা শুনে এমন মন্তব্য করা যায় কি না, তা নিয়ে পুরভোটের রাতেই প্রশ্ন উঠতে শুরু করল ।