বিজেপি করার অপরাধে একঘরে করে দেওয়া হল দক্ষিণ চব্বিশ পরগনার চার পরিবারকে। ওই পরিবারের যাতায়াতের সমস্ত রাস্তায় কাঁটা বেড়া দিয়ে আটকে দেওয়ার অভিযোগ তৃণমূলের বিরুদ্ধে। এই পরিস্থিতিতে সোমবার ওই চারটি পরিবারের সঙ্গে দেখা করেন বিজেপি নেত্রী অগ্নিমিত্রা পাল।
দক্ষিণ চব্বিশ পরগনা জেলার মথুরাপুর দু নম্বর ব্লকের রায়দিঘির দক্ষিণ কনকন দিঘীর ডাক্তারঘেরি এলাকার ঘটনা। ২০১৫ সালে আয়লা ঝড়ের সময় বাঁধ নির্মাণের জন্য জমি অধিগ্রহণ করেছিল সরকার। মণি নদীর বাঁধ সংলগ্ন এলাকায় বসবাসকারী বেশ ক’টি পরিবারদের পুনর্বাসনের ব্যবস্থাও করা হয়েছিল। সরকারের তরফে ওই পরিবার গুলিকে দেওয়া হয়েছিল জমির পাট্টা। পাশাপাশি মনি নদীর কোলে নব নির্মিত আয়লা বাঁধের কাছেই ওই পরিবার গুলির জন্য সরকারি তরফে তৈরি করা হয়েছিল বসতবাড়ি।কিন্তু পুনর্বাসন পেলেও সরকারি তরফে পরিবার গুলিকে কোনরকম বারাম রাস্তার ব্যবস্থা করে দেওয়া হয়নি বলে অভিযোগ। তাই ওই পরিবার গুলি নিজেদের ঘরের সামনে থাকা সরকারি জলাশয়ের ওপরে সাঁকো তৈরি করে যাতায়াত করত।
আরও পড়ুন: জেলা পরিষদের স্থায়ী সমিতিতে বাদ প্রাক্তন সভাধিপতি
কিন্তু এবারের পঞ্চায়েত নির্বাচনে বিজেপি করার অপরাধে তৃণমূলের দুষ্কৃতিরা সেই সাঁকো ভেঙ্গে ফেলে ওই বসতবাড়িগুলির সামনে কাঁটা বেড়া দিয়ে পরিবার গুলির যাতায়াতের পথ বন্ধ করে দেয় বলে অভিযোগ। বর্তমানে যাতায়াতের পথ বন্ধ থাকার কারণে রায়দিঘী থানার অন্তর্গত দক্ষিণ কনকন দিঘীর ডাক্তার ঘেরি এলাকায় আয়লা বাঁধ সংলগ্ন চারটি পরিবার ঘরছাড়া রয়েছে। আজ ওই পরিবার গুলির সঙ্গে দেখা করলেন বিজেপি নেত্রী অগ্নিমিত্রা পাল। প্রশাসন যদি ওই পরিবার গুলির জন্য সুষ্ঠু যাতায়াতের ব্যবস্থা না করে তাহলে আগামী দিনে হাইকোর্টে মামলা করার হুঁশিয়ারি দিলেন বিজেপি নেত্রী অগ্নিমিত্রা পাল।