বসিরহাট: যশ বিপর্যয়ে বিপাকে প্রতিমা শিল্পীরা। প্রতিমা তৈরি করতে লাগে এঁটেল মাটি। প্রতিমা তৈরির জন্য বিশেষ এই মাটি মিলছে না। চিন্তায় শিল্পীরা। মিলছে না প্রতিমা তৈরির অর্ডারও। জোড়া বিপাকে অনেকেই ঝুঁকছেন অন্য পেশায়।
সুন্দরবনের প্রত্যন্ত হিঙ্গলগঞ্জ, সন্দেশখালি, মিনাখাঁ প্রভৃতি ব্লকের প্রায় ২০০ জন প্রতিমা শিল্পী। এই সমস্ত এলাকার প্রতিমা শিল্পীরা মহাজনদের কাছ থেকে চড়া সুদে ঋণ নিয়ে প্রতিমা তৈরি করেন। তারপর সেই সমস্ত প্রতিমা বিক্রি করে মহাজনদের ঋণ শোধ করেন। কিন্তু করোনা আবহে অধিকাংশ জায়গায় গত প্রায় দুই বছর ধরে বন্ধ রয়েছে পুজো। পাশাপাশি প্রতিমা তৈরি করার এঁটেল মাটির অভাব দেখা দিয়েছে যশ বিপর্যয়ে। অন্যদিকে, বিভিন্ন রকমের রং, তুলি, কাপড় প্রভৃতি জিনিসের দাম আগের থেকে অনেক বেড়ে গিয়েছে। বেশি দামে প্রতিমা কিনতে চাইছে না ক্লাব। তার ওপরে করোনা, লকডাউন এসবের চক্করে যেখানে পুজো হচ্ছে সেখানেও অন্যান্য বছরের মতো বড় প্রতিমা নিয়ে ধুমধাম করে হচ্ছে না। ফলে এই সমস্ত এলাকার প্রতিমা শিল্পীদের আগের মত অর্ডার আসছে না। চরম হতাশার মধ্যে পড়ে গিয়েছেন প্রতিমা শিল্পীরা।
আরও পড়ুন: কাজের খোঁজে প্রতিবেশী দেশে ঢুকতে গিয়ে গ্রেফতার বাংলাদেশি দম্পতি
এই সমস্ত প্রতিমা শিল্পীরা সাধারণত বিশ্বকর্মা পুজো, মনসা পুজো থেকে অর্ডার পেতে শুরু করেন। চরম ব্যস্ততা দেখা যায় প্রতিমা তৈরির ঘরগুলোতে। কিন্তু এ বছর করোনা আবহে প্রতিমার চাহিদা না থাকায় সেই ব্যস্ততা আর দেখা যাচ্ছে না। গত বছর থেকেই মহাজনদের কাছে ঋণ নিয়ে প্রতিমা তৈরি করে রেখে দিয়েছেন প্রতিমা শিল্পীরা। সেই সমস্ত প্রতিমা এ বছরও বিক্রি হয়নি। এই চড়া সুদের ঋণ কীভাবে তারা শোধ দেবে, সংসার চালাবেই বা কীভাবে তা নিয়ে দিশেহারা এই সমস্ত এলাকার প্রতিমা শিল্পীরা।
আরও পড়ুন: বিজেপি মন্ডল সভাপতির বাড়িতে মধুচক্রের আসর, গ্রেফতার ৩