সোনামুখী: শিক্ষকের আত্মহত্যার ঘটনাকে কেন্দ্র করে উত্তাল হল বাঁকুড়ার সোনামুখী থানার রামপুর হাইস্কুল সংলগ্ন এলাকা। ওই শিক্ষকের আত্মহত্যার ঘটনায় অভিযুক্ত স্কুলেরই দুই শিক্ষকের শাস্তির দাবিতে বৃহস্পতিবার দুপুরে লাগাতার পথ অবরোধ শুরু করেন পড়ুয়া ও স্কুলের প্রাক্তনীরা। অবরোধ তুলতে গেলে পুলিসের সঙ্গে ব্যাপক ধাক্কাধাক্কি হয়। পুলিসকে লক্ষ্য করে পাথর ছোড়া হয় বলে অভিযোগ। এরপরই পুলিস লাঠিচার্জ করে পড়ুয়াদের হঠিয়ে দেয়।
স্থানীয় সূত্রে জানা গিয়েছে, বুধবার রামপুর হাইস্কুলে পড়ুয়াদের ভ্যাকসিন দেওয়ার ঘটনাকে কেন্দ্র করে কথা কাটাকাটি হয় ওই স্কুলের শিক্ষক কার্তিক চৌধুরীর সঙ্গে কয়েকজন শিক্ষক-শিক্ষিকার। পরে কার্তিক চৌধুরী গঙ্গাজলঘাটি ব্লকের কালজুড়ি গ্রামে নিজের বাড়িতে গিয়ে আত্মহত্যা করেন বলে অভিযোগ।
পড়ুয়াদের সামনে স্কুলের শিক্ষক ও শিক্ষিকাদের একাংশ অপমান করাতেই কার্তিক চৌধুরী এমন চরম সিদ্ধান্ত নিতে বাধ্য হন বলে অভিযোগ ওঠে। এদিন পড়ুয়ারা স্কুলে গিয়ে অভিযুক্ত শিক্ষক-শিক্ষিকাদের শাস্তির দাবিতে সরব হয়। স্কুলে বিক্ষোভ দেখানোর পাশাপাশি পাশেই বাঁকুড়া-সোনামুখী রাস্তা অবরোধ করে বিক্ষোভ দেখাতে থাকে। তাদের এই বিক্ষোভ-অবরোধে যোগ দেন স্কুলের প্রাক্তনীরা। পুলিস অবরোধস্থলে গেলে দুপক্ষের মধ্যে ধাক্কাধাক্কি শুরু হয়।
আরও পড়ুন: Anish Khan Case: আনিস মৃত্যুর তদন্তে পুলিস এবং সিটের উপর ভরসা রাখার আবেদন রাজ্য পুলিসের
অভিযোগ, এর মাঝেই পুলিসকে লক্ষ্য করে ইট-পাটকেল ছোড়ে অবরোধকারীরা। তখন পুলিস লাঠি চালিয়ে অবরোধকারীদের হঠিয়ে দেয়। পড়ুয়া ও প্রাক্তনীরা কার্তিক চৌধুরীকে আত্মহত্যার প্ররোচনায় অভিযুক্ত শিক্ষক ও শিক্ষিকার কঠোর শাস্তির দাবি জানিয়েছেন। অভিযুক্ত শিক্ষিকা জানিয়েছেন, প্রয়াত কার্তিক চৌধুরীর সঙ্গে তিনি কোনও খারাপ ব্যবহার করেননি। তাঁর বিরুদ্ধে মিথ্যা অভিযোগ তোলা হচ্ছে।