ভাঙ্গড়: প্রতিমাসে ৫০০ টাকা পাওয়ার জায়গায় এককালীন ১৬ হাজার টাকা পেতে গিয়ে প্রতারণার শিকার এক মহিলা। অভিযুক্ত প্রতারকের নাম রঞ্জিত মিস্ত্রি। সম্প্রতি লক্ষী ভান্ডার প্রকল্পের মাধ্যমে মুখ্যমন্ত্রী সকল মহিলাদের টাকা দেওয়ার ব্যবস্থা করেছেন। লক্ষ্মী ভাণ্ডারের ফর্ম ফিলাপ করলে মিলবে ৫০০ টাকা করে। কিন্তু মোট টাকার থেকেও যদি বেশি পাওয়া যায় তাতে ক্ষতি কী?
সেই হিসেব করেই ১৬ হাজার টাকা দেওয়ার নাম করে ফাঁদ পেতেছিল প্রতারক। ওই মহিলার অভিযোগ, রঞ্জিত মিস্ত্রি নামে এক প্রতারক তাঁকে ফোন করে। মহিলাকে বলা হয় আপনি লক্ষী ভাণ্ডারে নাম নথিভুক্ত করেছেন। আপনাকে আপনার নামে ১৬ হাজার টাকা আমরা দেব।
আরও পড়ুন – শিশুকে সিরাপের বদলে বড়দের ইঞ্জেকশন! বিতর্কে ধুপগুড়ি গ্রামীণ হাসপাতাল
ভদ্রমহিলা ওই কথা শোনার পর এককালীন টাকা পাওয়ার আশায় অপর প্রান্তে থাকা সেই প্রতারকের জিজ্ঞাসা করলেন আমাকে কী করতে হবে? প্রতারক বলেন আপনাকে একটি মোবাইল রিচার্জের দোকানে যেতে হবে। সেখানে গিয়ে বলতে হবে আমার ছেলে বিদেশে থাকে সে আমাকে ১৬০০ টাকা পাঠাচ্ছে। আপনি দোকানদারকে ফোন টা ধরিয়ে দেবেন। প্রতারক এও বলেন আপনি কানে ফোনটা নিয়ে সোজা রিচার্জের দোকানে যান কাউকে কোনও কথা বলবেন না। ফোন রিচার্জের দোকানে গিয়ে বলবেন আমার ছেলে বিদেশে থাকে সে আমাকে টাকা পাঠাচ্ছে আপনি ছেলের সঙ্গে কথা বলুন।
প্রতারকের কোথায় ওই মহিলা ভাঙ্গরে ফোনের রিচার্জের দোকানে যান। দোকানদার কে ফোনটা ধরিয়ে দেয়। প্রতারক ফোনের দোকানদারকে বলে উনি আমার মা। আমাকে ৮০০০ টাকা পাঠাচ্ছেন আপনি মোবাইলে ৮০০০ টাকা পাঠিয়ে দিন। প্রতারকের কথা মত ওই মহিলাকে জিজ্ঞাসা করে মোবাইল ফোনের দোকানদার মোবাইল মাধ্যমে ৮০০০ টাকা পাঠিয়ে দেন ওই যুবককে।
আরও পড়ুন – বিসর্জন দিতে গিয়ে পুকুরে ডুবে মৃত সাত
এরপর ওই ভদ্রমহিলার কাছে ৮০০০হাজার টাকা দোকানদার চান। ভদ্রমহিলা হতভম্ব হয়ে যান। তিনি বলেন ছেলেটি আমাকে ১৬ হাজার টাকা পাঠাবার কথা বলেছে। আমি কেন টাকা দেব? মোবাইল ফোনের দোকানদার বলেন ছেলেটি আমাকে বলেছে আমার মা ৮০০০ টাকা পাঠাবে আপনি টাকাটা পাঠিয়ে দিন মোবাইল ফোনের মাধ্যমে। আমি টাকাটা পাঠিয়ে দিয়েছি আপনি আমাকে ৮০০০ টাকা দিন।
এরপর মোবাইল ফোনের দোকানদার কাশিপুর থানায় ওই মহিলার নামে অভিযোগ জানায়। কাশিপুর পুলিশ ওই মহিলাকে আটক করে থানায় নিয়ে যায়। ওই মহিলার স্বামী কাশিপুর থানায় ছুটে যায় সমস্ত ঘটনা কাশিপুর পুলিশকে জানায়। এরপর প্রতারকের নামে থানায় অভিযোগ জানায়। পুলিশ ইতিমধ্যেই তদন্ত শুরু করেছে।
প্রতারিত হওয়া মহিলার স্বামী জানান লক্ষী ভাণ্ডার প্রকল্পের টাকা পাইয়ে দেওয়ার নামে আট হাজার টাকা আত্মসাৎ করে প্রতারক। তাঁরা চায় প্রতারক দ্রুত ধরা পড়ুক ও তাঁর কঠোরতম শাস্তি হোটা