পুরুলিয়া: পর্যটন মরশুমের শুরুতেই ধাক্কা। লক্ষাধিক টাকারও বেশি বিদ্যুৎ বিল বকেয়া থাকায় পুরুলিয়া শহরের অন্যতম পর্যটনস্থল ‘সাহেববাঁধ শিকারা পয়েন্টে’র। আর তাই শিকারা পয়েন্টের সংযোগ বিচ্ছিন্ন করল বিদ্যুৎ দফতর। এই ঘটনায় প্রশ্নের মুখে পুরুলিয়া পুরসভা। বকেয়া বিল নিয়ে কর্তাব্যক্তিদের মধ্যে চলছে চাপানউতোর। ফলে, বিল মেটানোর বিষয়টি আপাতত সাহেববাঁধেই জলমগ্ন রয়েছে।
২০১৮ সালে ঢাকঢোল পিটিয়ে শিকারা পয়েন্টের উদ্বোধন করেছিল তৃণমূল পরিচালিত পুরুলিয়া পুরসভা। এই স্থানটি দেখভালের দায়িত্ব দেওয়া হয়েছিল কাশ্মীরের একটি বেসরকারি সংস্থাকে। এরপর থেকেই পুরুলিয়া শহরের পর্যটন মানচিত্রে জায়গা করে নিয়েছিল এই শিকারা পয়েন্ট। জেলা ছাড়িয়ে ভিন রাজ্য থেকে পর্যটকদের ভিড় থাকে এই পর্যটনস্থলে।
শীতের মরশুমে শিকারা বিহার থেকে শুরু করে মনোরম পরিবেশ উপভোগ করে থাকেন সাধারণ মানুষ ও পর্যটকরা। ঠিক ভরা মরশুমেই এই শিকারা পয়েন্টের বিদ্যুৎ সংযোগ বিচ্ছিন্ন হয়ে পড়ায় ভাটা পড়তে শুরু করেছে পর্যটন ব্যবসায়। ক্ষতির মুখে শিকারা পয়েন্টের দায়িত্বে থাকা সংস্থা। শহরের অন্যতম পর্যটনস্থলের বিদ্যুৎ বিল বকেয়া কেন, উঠছে প্রশ্ন। আগামীদিনে আবার কবে শিকারা পয়েন্টে বিদ্যুৎ সংযোগ হবে, সেটাই এখন দেখার।
পুরুলিয়া পুরসভার প্রাক্তন ভাইস চেয়ারম্যান বৈদ্যনাথ মণ্ডল বলেন, এই শিকারা পয়েন্টের বিদ্যুৎ সংযোগ রয়েছে ভাইস চেয়ারম্যানের নামে। অতীতে এই বিদুৎ বিল পুরসভা থেকে দেওয়া হয়েছে। চেয়ারম্যানের অনুপস্থিতিতে ভাইস চেয়ারম্যান কাজ চালিয়ে যান। সেই সময় আমি ভাইস চেয়ারম্যান ছিলাম। তাই ভাইস চেয়ারম্যানের নামে রয়েছে।
বর্তমান পুরবোর্ডের চেয়ারপার্সন নবেন্দু মাহালি বলেন, এই শিকারা পয়েন্টের যে বিদ্যুৎ সংযোগ আছে, সেটি পুরসভার নামে নেই। ফলে পুরসভার তহবিল থেকে এই বিদুৎ বিল দেওয়া যাচ্ছে না। এই পয়েন্টে বিদ্যুৎ সংযোগ রয়েছে ভাইস চেয়ারম্যানের নামে। অথচ পুরসভার অন্যান্য যে ১৬টি বিদ্যুৎ সংযোগ রয়েছে সেগুলি পুরসভার চেয়ারম্যানের নামে রয়েছে। এই শিকারা পয়েন্টের ১ লক্ষ ১৭ হাজার টাকা বিদ্যুৎ বিল বকেয়া রয়েছে। যেহেতু এই সংযোগ চেয়ারম্যানের নামে নেই, সেই জন্য এই শিকারা পয়েন্টের বিল বকেয়া পড়ে রয়েছে।