পূর্ব বর্ধমান: বাবার মৃত্যুর শোকে হাসপাতালের বিল্ডিং থেকে ঝাঁপ দিয়ে আত্মহত্যা ছেলের। মর্মান্তিক ঘটনাটি ঘটেছে পূর্ব বর্ধমান জেলার তোড়কোনা গ্রামে। স্থানীয় সূত্রে খবর,মৃত বাবা, কার্তিক রুইদাস পেশায় একজন রাজমিস্ত্রি। তাঁর বাড়ি তোড়কোনা গ্রামের দাসপাড়ায়। দীর্ঘদিন ধরেই শারীরিক অসুস্থতায় ভুগছিলেন কার্তিক। গতকাল শারীরিক অবস্থার অবনতি হলে তাঁকে ভর্তি করা হয় দুর্গাপুর হাসপাতালে। সেখানেই গতকাল মারা যান কার্তিক রুইদাস। তাঁর মৃত্যুর খবর মেনে নিতে পারেনি ছোট ছেলে অশোক রুইদাস। ফলে হাসপাতালের ছাঁদ থেকে ঝাঁপ দিয়ে আত্মহত্যা করে অশোক।
আরও পড়ুন বাংলার টিকা নিয়ে তৃণমূল-বিজেপি ‘তু তু ম্যায় ম্যায়’
কিন্তু কেন এই ঘটনা ঘটাল অশোক? তা এখনও অধরা । এ বিষয়ে বড় ছেলে অলক দাস জানান, ‘এর আগেও বাবার চিকিৎসার জন্য বহু জায়গায় নিয়ে যেতে হয়েছে। প্রথমে বর্ধমান মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল তারপর বর্ধমান আদর্শ নার্সিংহোমে ভর্তি করানো হলেও শরীর স্বাস্থ্যের কোনও রকম উন্নতি ঘটেনি কার্তিক বাবুর। ফলে তাঁকে সেখান থেকে সরিয়ে গতকাল ভর্তি করা হয় দুর্গাপুর হাসপাতালে। কিন্তু তাতেও কোনও লাভ হয়নি।’ সোমবার বিকেল পাঁচটায় ব্রেন স্ট্রোকে আক্রান্ত হয়ে মারা যান কার্তিক রুইদাস।এই খবর শুনে নিজেকে আটকে রাখতে পারেনি অশোক। মঙ্গলবার হাসপাতালে পাঁচতলা বিল্ডিং থেকে ঝাঁপ দিয়ে আত্মহত্যা করেন অশোক।এমনটাই জানান দাদা অলক রুইদাস। মৃত ছেলে অর্থাৎ অশোক রুইদাস ইংরেজি তৃতীয় বর্ষের ইংরেজি অনার্সের ছাত্র। পড়াশোনার সূত্রে আগামী বছর বাইরে যাওয়ারও প্ল্যান ছিল তাঁর। কিন্তু সমস্ত পরিকল্পনায় জল ঢেলে এত তাড়াতাড়ি এই সিদ্ধান্ত ঠিক কী কারণে? তা ভাবাচ্ছে স্থানীয় প্রশাসনকে।
আরও পড়ুন ফের ‘লুকিয়ে’ মুকুলের দিল্লির বাড়িতে সুনীল
ঘটনায় মঙ্গলবার একই দিনে বাবা এবং ছেলের সৎকারের মর্মান্তিক দৃশ্য ফুটে ওঠে তোড়কোনা গ্রামে। একইসঙ্গে এই ঘটনায় স্তম্বিত স্থানীয় মানুষজন।ঘটনার তদন্ত শুরু করেছে তোড়কোনান থানার পুলিশ।
আরও পড়ুন করোনার নৈশ বিধিনিষেধে পুলিশকে আরও কঠোর হতে নির্দেশ নবান্নের