পূর্ব বর্ধমান: আউসগ্রামের তৃণমূল নেতা খুনের ঘটনায় বিস্ফোরক মৃতের বাবা শ্যামল বক্সী। অভিযুক্তদের গ্রেফতারের দাবিতে পঞ্চায়েতের বোর্ড ভেঙে দেওয়ার হুশিয়ারি দিয়েছেন তিনি। একই সঙ্গে এই খুনের ঘটনায় স্থানীয় বিজেপি কর্মী-সমর্থকরা জড়িত নয় বলেই তিনি দাবি করেছেন।
বৃহস্পতিবার শ্যামলবাবু বলেন, “আমার ছেলের খুনের প্রকৃত দোষীদের গ্রেফতার না করা হলে ১০ জন সদস্য পদত্যাগ করে পঞ্চায়েত বোর্ড ভেঙে দেব। এলাকায় এক সময় বিজেপির বাড়বাড়ন্ত থাকলেও খুনের সঙ্গে বিজেপির কোন যোগসাজশ দেখতে পাচ্ছি না।
আরও পড়ুন- তালিবান আতঙ্কে কাশ্মীরের নিরাপত্তা নিয়ে উচ্চপর্যায়ের বৈঠক স্বরাষ্ট্রমন্ত্রকের
এদিন বীরভূম জেলা তৃণমূল সভাপতি অনুব্রত মণ্ডল চঞ্চল বক্সির পরিবারকে সমবেদনা জানাতে আসেন। সে বিষয়ে শ্যামল বলেন, দল এবং অনুব্রত মণ্ডলের প্রতি সম্পূর্ণ ভরসা ও আস্থা রয়েছে।
আরও পড়ুন- করোনায় আক্রান্ত সহকারী ফিজিও, ম্যাচ হওয়া নিয়ে সংশয়ে বোর্ড সভাপতি সৌরভ গঙ্গোপাধ্যায়
অনুব্রত বলেন, পুলিশ প্রশাসনকে জানিয়েছি প্রকৃত দোষীদের ১৫ দিনের মধ্যে গ্রেপ্তার করতে হবে। অন্যথায় আমি ভয়ঙ্কর খেলা খেলে দেব। চঞ্চল বক্সীর খুনের ঘটনায় বিজেপির হাত থাকতে পারে বলে আশঙ্কা অনুব্রতর। তিনি বলেন, এলাকায় জনপ্রিয় ও নির্বিবাদী মানুষ বলে পরিচিত ছিল চঞ্চল বক্সী। তাঁর অকাল মৃত্যু কিছুতেই মেনে নেওয়া যায় না। চঞ্চলের পরিবারের পাশে থাকার আশ্বাস দিয়েছেন অনুব্রত মণ্ডল। দলের কেউ জড়িত থাকলে তাঁকে গুলি করে মারা উচিত বলেও মনে করেন অনুব্রত।
আরও পড়ুন –চতুর্থ কলকাতা, অষ্টম যাদবপুর, দেশের সেরা দশ বিশ্ববিদ্যালয়ে নজরে বঙ্গ
গত মঙ্গলবার আউসগ্রামের দেবসালা পঞ্চায়েতের প্রধানের ছেলে চঞ্চল বকশি খুন। উত্তেজনা আউসগ্রামে। অভিযোগ, আউসগ্রামের প্রাক্তন যুব সভাপতি চঞ্চল বকশির উপর জঙ্গলের রাস্তায় প্রায় পাঁচ জন আততায়ী রাস্তা আটকে গুলি চালায়।
অভিযোগ আততায়ীরা পরপর ৫ রাউন্ড গুলি চালায়। চঞ্চলের পিঠে, বগলে ও পেটে ৩টি গুলি লাগে। গেরাই অঞ্চলের গ্রামবাসীরা তাঁকে নিয়ে আসে প্রাথমিক স্বাস্থ্যকেন্দ্র জামতারায়। যদিও ঘটনাস্থলেই তাঁর মৃত্যু হয়।