সারসা নদীতে ভাসছে পূজার দেহ। কলার ভেলায় তাকে ভাসিয়ে দিয়েছে পরিবার। শুক্রবার রাতে বাবার পাশে ঘুমিয়ে ছিল সে। সেই সময় সাপে কামড় দেয় পূজাকে। বাবা অসুস্থ মেয়েকে নিয়ে যান স্থানীয় এক ওঝার কাছে। ৩ ঘণ্টা ধরে ঝাড়ফুঁক। পূজার শরীর আরও খারাপ হতে শুরু করে। শেষ পর্যন্ত মোল্লাখালি প্রাথমিক হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হলেও পূজাকে বাঁচানো যায়নি।
আরও পড়ুন মহারাষ্ট্রের প্রাক্তন মন্ত্রীর দুই সহায়ককে গ্রেফতার করল ইডি
পুলিশ ও স্থানীয় সূত্রের খবর, মৃত নাবালিকার নাম পূজা মৃধা। দশ বছরের পূজাকে রাত্রি পৌনে এগারোটা নাগাদ সাপে কামড়ায়। যন্ত্রণায় ছটফট করতে থাকে সে। মৃতার বাবা তাকে স্থানীয় এক ওঝার কাছে যান। সেখানেই প্রায় তিন ঘণ্টার বেশিক্ষণ ধরে চলে ঝাড়ফুঁক। শেষে অবস্থা বেগতিক দেখে মেয়েকে স্থানীয় ছোট মোল্লাখালি প্রাথমিক স্বাস্থ্যকেন্দ্রে নিয়ে যান দ্বীপবাবু। সেখানে চিকিৎসা শুরুর আগেই মৃত্যু হয় ওই নাবালিকার। চিকিৎসকরা জানিয়েছেন, হাসপাতালে আনতে দেরি হওয়ার কারণেই মৃত্যু হয়েছে। এরপর মৃত মেয়ের দেহ কলার ভেলায় চাপিয়ে সারসা নদীতে ভাসিয়ে দেন পরিবারের অন্যান্যরা।
আরও পড়ুন তিনধরিয়ার ধস, ঘুরপথেই যেতে হচ্ছে দার্জিলিং
সাপে কাটা নিয়ে অসংখ্য় সচেতনতা শিবির হয়েছে। তবু এখনও বহু মানুষের হুঁশ ফেরেনি। আজও অনেকের মন কুসংস্কারে আচ্ছন্ন। তারই পরিচয় দিল সুন্দরবনের এই ঘটনা। যার জেরে পূজার মতো অনেককেই আজও প্রাণ দিতে হচ্ছে।
আরও পড়ুন দৈনিক সংক্রমণ ৫০ হাজারের নীচে, বাড়ছে সুস্থতার হার