নয়াদিল্লি: করোনার দ্বিতীয় ঢেউ কেড়েছে অসংখ্য প্রাণ। এক সময় দৈনিক আক্রান্তের সংখ্যা ৪ লক্ষ ছাড়িয়ে গিয়েছিল। দাওয়াই বলতে ছিল লকডাউন আর নাইট কার্ফু। সঙ্গে কোভিড টিকাকরণ। দেশে টিকাকরণের কাজ ডিসেম্বরের মধ্যে শেষ করার প্রতিশ্রুতি দিয়েছে কেন্দ্র। গত দেড় মাস ধরে সংক্রমণের গতি কিছুটা নিম্নমুখী। সুস্থতার হার যেমন বাড়ছে, তেমন দৈনিক মৃত্যুও কমছে।
আরও পড়ুন: কাচে মোড়া ট্রেনে মুম্বই টু পুণে
গত ২৪ ঘণ্টায় নতুন করে যত জন সংক্রমিত হয়েছেন, তার চেয়ে ঢের বেশি মানুষ সুস্থ হয়ে উঠেছেন। দেশে গত ২৪ ঘণ্টায় সুস্থ হয়েছেন ৬৪ হাজার ৮১৮ জন৷ মোট সুস্থ হয়েছেন ২ কোটি ৯১ লক্ষ ৯৩ হাজার ৮৫ জন। সুস্থতার হার ৯৬.৭২ শতাংশ। গত ২৪ ঘণ্টায় এই কোভিডে আক্রান্ত হয়েছেন ৪৮ হাজারের বেশি মানুষ।
স্বাস্থ্যমন্ত্রকের শনিবারের তথ্য অনুযায়ী, একদিনে করোনা আক্রান্তের সংখ্যা ৪৮,৬৯৮ জন৷ সব মিলিয়ে দেশে মোট করোনা আক্রান্তের সংখ্যা দাঁড়াল ৩ কোটি ২৮ হাজার ৭০৯। আর গত ২৪ ঘণ্টায় মৃত্যু হয়েছে ১১৮৩ জনের৷ এই সংখ্যাটা শুক্রবারের তুলনায় কিছুটা কম। করোনায় দেশে মোট মৃতের সংখ্যা ৩ লক্ষ ৯৪ হাজার ৪৯৩৷
আরও পড়ুন: ১০০ ডায়ালে ফোন করে বাঁচলেন মহিলা
গত ৪৪ দিন ধরে যতজন দৈনিক কোভিডে আক্রান্ত হয়েছেন, তার থেকে বেশি রোগী রোজ সুস্থ হয়ে উঠছেন। এর জেরে দেশে অ্যাকটিভ কেস ধারাবাহিকভাবে কমছে। এ দিন নতুন করে অ্যাকটিভ কেস কমেছে ১৭ হাজার। মাসখানেক আগে দেশে সক্রিয় রোগী ছিল ৩৭ লক্ষের বেশি। এখন তা কমে ৬ লক্ষের নীচে চলে এসেছে। এই মুহূর্তে দেশে করোনা অ্যাক্টিভ কেস রয়েছে ৫,৯৫,৫৬৫টি৷
অর্থাৎ, দেশে এখন চিকিৎসাধীন রয়েছেন ৫ লক্ষ ৯৫ হাজার ৫৬৫ জন। মাস্ক-স্যানিটাইজার-শারীরিক দূরত্বের পাশাপাশি করোনা রুখতে সবচেয়ে জরুরি হল গণ-টিকাকরণ। আপাতত দেশজুড়ে টিকাকরণেই জোর দিচ্ছে সরকার। ইতিমধ্যেই দেশের ৩১ কোটি ৫০ লক্ষ ৪৫ হাজার ৯২৬ জনকে টিকা দেওয়া হয়েছে।