আউশগ্রাম: দেবশালা পঞ্চায়েত প্রধানের ছেলের খুনের ঘটনায় নাটকীয় মোড়। ।জিজ্ঞাসাবাদের জন্য চার জনকে আটক করা হল। যাদের মধ্যে রয়েছেন আউসগ্রামের তৃণমূল যুব সভাপতি, দেবসালা পঞ্চায়েতের একজন সদস্য। বাকি দুজনও তৃণমূল কর্মী।
তৃণমূল পরিচালিত বুদবুদের দেবশালা পঞ্চায়েতের প্রধান শ্যামল বক্সীর ছেলে চঞ্চল বক্সীকে জঙ্গলে গুলি করে খুন করে পালায় দুষ্কৃতীরা। ঘটনার পাঁচ দিনের মাথায় তদন্তকারীরা জিজ্ঞাসাবাদের জন্য চার জনকে আটক করেন। এদের মধ্যে রয়েছেন দেবশালা গ্রাম পঞ্চায়েতের মৌকটা গ্রামের তৃণমূল পঞ্চায়েত সদস্য মনিরহোসেন মন্ডল, দেবশালা অঞ্চল তৃণমূল কংগ্রেস সভাপতি হিমাংশু মন্ডলের ছেলে বিশ্বরূপ মন্ডল ওরফে মানু,ও দেবশালা অঞ্চল তৃণমূল যুব সভাপতি আশানুর মন্ডল ও আইয়ুব খান ( বুম্বা) ।
যদিও এই বিষয়ে দেবশালা পঞ্চায়েতের তৃণমূল সদস্য মনির মন্ডলের স্ত্রীর অভিযোগ,পুলিশ কিছু না বলেই তাঁর স্বামীকে তুলে নিয়ে গিয়েছে,পরে তাঁরা জানতে পারেন চঞ্চলের খুনের ঘটনায় কারোর বয়ানের ভিত্তিতে মনির হোসেন মন্ডলকে পুলিশ জিজ্ঞাসাবাদের জন্য নিয়ে গিয়েছে। তাঁর অভিযোগ, চক্রান্ত করে তাঁর স্বামীকে এই খুনের ঘটনায় ফাঁসিয়ে দেওয়া হচ্ছে।
আরও পড়ুন- জলপাইগুড়িতে জ্বরে আক্রান্ত শতাধিক শিশু, একজনের দেহে করোনা সংক্রমণ
একই অভিযোগে সরব হয়েছেন দেবশালা অঞ্চলের তৃণমূল কংগ্রেসের বর্তমান সভাপতি হিমাংশু মন্ডল ও তাঁর স্ত্রী। তাঁদেরও অভিযোগ, পুলিশ কিছু না জানিয়ে তাঁদের ছেলেকে স্থানীয় একটি ক্লাব থেকে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য তুলে নিয়ে গিয়েছে।
শনিবার রাতে এই খুনের ঘটনায় খোদ দলেরই পঞ্চায়েত সদস্য ও নেতাদের থানায় নিয়ে গিয়ে জিজ্ঞাসাবাদের ঘটনায় এখন বেশ অস্বস্তিতে ঘাস ফুল শিবির। যদিও তদন্তের স্বার্থে পুলিশ মুখ এই বিষয়ে কোনও কথা বলতে রাজি হয়নি।
আরও পড়ুন- করোনা আবহে ব্যবসায়ে চরম মন্দা, হতাশায় আত্মঘাতী হরিদেবপুরের ব্যবসায়ী
দিন কয়েক আগে দেবশালায় চঞ্চলের পরিবারের সাথে কথা বলতে এসে বীরভূম জেলা তৃণমূল কংগ্রেস সভাপতি অনুব্রত মন্ডল জানিয়েছিলেন, পনেরো দিনের মধ্যে দুষ্কৃতীরা ধরা না পড়লে ভয়ঙ্কর খেলা হবে। হুমকিও দিয়েছিলেন, যে দলের কোনো কর্মী নৃশংসতার এই ঘটনায় জড়িত থাকলে গুলি করে মেরে দেওয়া হবে। তারপরেই তৃণমূল নেতা কর্মীকে আটক করায় স্বাভাবিক ভাবেই সুর সপ্তমে চড়িয়েছে বিজেপি জেলা নেতৃত্ব, তাঁদের দাবি নিরেপেক্ষ তদন্ত হলে আরও অনেকে ধরা পড়বে।