কলকাতা: গলার নলি কেটে খুন নয়, কোভিড পরিস্থিতিতে চরম ব্যবসায়িক মন্দার কারণে নিজের গলায় ছুরি চালিয়ে আত্মঘাতী হলেন হরিদেবপুরর ব্যবসায়ী তপন দে। বয়স ৫৪। শনিবার বিকেলে ময়নাতদন্তের রিপোর্ট হাতে আসার পর এই তথ্যই জানিয়েছেন লালবাজারের পুলিশকর্তারা। প্রাথমিক তদন্তে পুলিশের মনে হয়েছিল, কেউ কারখানার মধ্যে ঢুকে পিছন থেকে গলার নলি কেটে ব্যবসায়ীকে খুন করেছে। কিন্তু ময়নাতদন্তের রিপোর্ট হাতে আসার পর তদন্তের গতি প্রকৃতি অন্যদিকে মোড় নিল।
পুলিশ সূত্রে খবর, টালিগঞ্জের বাসিন্দা তপন দে। স্ত্রী ইন্দ্রানী দে স্থানীয় একটি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের শিক্ষিকা। তদন্তের পর পুলিশ জানতে পেরেছে, তপনবাবু একটি কোম্পানিতে আগে চাকরি করতেন। ২০১৯ সালে সেই চাকরি চলে যায় তার। তপনবাবুর শ্বশুরবাড়ি হরিদেবপুরের চক রামনগর এলাকায়।
আরও পড়ুন: দুয়ারে সরকার শিবিরে পঞ্চায়েত প্রধানের সই নকল, গ্রেফতার ৩
চাকরি চলে যাওয়ার পর সেইখানে একটি ঘর ভাড়া নিয়ে লেদ মেশিনের কারখানা করেন তপনবাবু। কিন্তু লকডাউন এবং করোনা পরিস্থিতির কারণে ব্যবসা ভালো চলছিল না। টাকার অভাবে তিনি জিএসটি দিতে পারছিলেন না। এই সমস্ত কারণে চরম মানসিক অবসাদে ভুগছিলেন তিনি।
আরও পড়ুন: পুরীর মন্দিরে গেছেন, আপনার পাশের ভক্ত সত্যিই করোনা নেগেটিভ তো?
সেই মানসিক অবসাদ থেকে মুক্তি পেতে তিনি শুক্রবার রাতে নিজের গলায় ছুরি চালিয়ে আত্মঘাতী হন। অনেক রাত হয়ে যাওয়া সত্ত্বেও তিনি বাড়ি না ফেরায় স্ত্রী ইন্দ্রানী দেবী বিষয়টি জানান দুই ভাইকে। ভাইয়েরা কারখানায় গিয়ে দেখেন, নিজের চেয়ারে গলার নলি কাটা অবস্থায় বসে রয়েছেন তপনবাবু। সঙ্গে সঙ্গে খবর দেওয়া হয় হরিদেবপুর থানায়। পুলিশ এসে উদ্ধার দেহ উদ্ধার করে।