তমলুক : করোনা আবহের মধ্যে তমলুকের বর্গভীমা মন্দিরে বিশেষ বিপত্তারিণী পুজো। ১৩ রকম ফুল, ১৩ রকম ফল, ১৩টি পান, ১৩টি সুপারি এবং ১৩ গাছা লাল সুতোতে ১৩ গাছা দূর্বা দিয়ে ১৩টি গিঁট বেঁধে ধাগা তৈরি করতে হয়। ব্রাহ্মণ দ্বারা আম্রপল্লব-সহ ঘট স্থাপন করে নাম গোত্র সহযোগে পুজো দেয় বাঙালি মেয়েরা। পুজোর পরে শোনা হয় বিপত্তারিণীর ব্রতকথা। যা এই পুজোর অন্যতম অঙ্গ। পশ্চিমবঙ্গ ও ওড়িশার পার্শ্ববর্তী অঞ্চলে হিন্দু দেবী রূপে পূজিত হন এই দেবী। সঙ্কটনাশিনীর একটি রূপ এবং দেবী দুর্গা ১০৮ অবতারের মধ্যে অন্যতম এই দেবী। কথিত আছে বিপদ থেকে উদ্ধার পাওয়ার জন্য এই দেবীর পুজো করা হয়ে থাকে। লাল সুতোর ধাগা পুরুষদের ডান এবং মহিলাদের বাম হাতে ধারণ করা এই পুজোর নিয়ম। বিপত্তারিণী ব্রত সাধারণত মহিলাদের ব্রত। এই ব্রত কমপক্ষে ৩ বছর পালন করা নিয়ম। পূর্ব মেদিনীপুর জেলার তমলুকে ঐতিহ্য প্রাচীন ইতিহাস বিজড়িত বর্গভীমা মায়ের মন্দিরে দেখা গেল বিপত্তারিণী পুজো উপলক্ষে ভক্তদের আনাগোনা।
মন্দিরের পার্শ্ববর্তী এলাকায় রাস্তার ধারে পুজো উপলক্ষে উলের তৈরি বিভিন্ন ধরনের ডুরি অথবা ধাগা বিক্রি করতে দেখা যায় দোকানদারদের। করোনা পরিস্থিতি কিছুটা স্বাভাবিক হওয়ায় রাজ্য সরকার রাজ্যের সব তীর্থস্থানের দরজা খুলে দেওয়ার অনুমতি দিয়েছে ভক্তদের জন্য। তবে কোভিড নিয়ম মেনেই ভক্তদের প্রবেশ করাতে হবে মন্দিরে। মঙ্গলবার বিপত্তারিনী পুজো উপলক্ষে সকাল থেকে তমলুকের প্রাচীন বর্গভীমা মন্দিরের ভক্তদের আনাগোনা শুরু হয়েছে। কোভিড বিধি মেনে ভক্তদের যেমন প্রবেশ করানো হচ্ছে তেমনি নিয়ম মেনে সামাজিক দূরত্ব বজায় রেখেই পূজার্চ্চনা হচ্ছে তমলুকের বর্গভীমা মন্দিরে।