বনগাঁ: ভ্যাকসিন দুর্নীতির অভিযোগ পঞ্চায়েত প্রধানের বিরুদ্ধে। ঘটনাটি ঘটেছে উত্তর ২৪ পরগনা জেলার অশোকনগর বিধানসভা কেন্দ্রের গুমা এক নম্বর পঞ্চায়েতে। বাসিন্দাদের অভিযোগ, সাধারণ মানুষ ভ্যাকসিনের লাইনে দাঁড়িয়ে ফেরত যাচ্ছেন। অথচ পঞ্চায়েত সদস্যদের পরিচিতরা লাইন ছাড়াই ভ্যাকসিন পেয়ে যাচ্ছেন। এই দাবি তুলেই সোমবার ভ্যাকসিন কেন্দ্রের সামনে বিক্ষোভ দেখান স্থানীয় লোকজন।
বৃদ্ধরা করোনা ভ্যাকসিন দেওয়ার ক্ষেত্রে অগ্রাধিকার শ্রেনীর মধ্যে পড়েন। তাঁদেরও এই গুমা পঞ্চায়েতের ভ্যাকসিন সেন্টারে গত তিন দিন ধরে লাইন দিতে হচ্ছে। তাঁদের অভিযোগ ভোর তিনটে থেকে লাইনে দাঁড়িয়ে থাকার পরও ভ্যাকসিন না পেয়ে ফিরে যেতে হচ্ছে।
বিক্ষোভকারী অমিত রায় বলেন, পঞ্চায়েতের সদস্যরা বাড়িতে গিয়ে ভ্যাকসিনের স্লিপ দিয়ে আসছে। ফলে অনেকে লাইনে না দাড়িয়েও ভ্যাকসিন পেয়ে যাচ্ছেন। অথচ যারা লাইনে দাড়াচ্ছেন তাঁরা ভ্যাকসিন পাচ্ছেন না। কারণ স্লিপ বিলির ক্ষেত্রে কারা অগ্রাধিকার পাবে তা নিয়ে সরকারের নির্দেশ মানা হচ্ছে না।
আরও পড়ুন – ভ্যাকসিন দুর্নীতির প্রতিবাদ করায় হুমকি চিকিৎসকে
৭০ বছর বয়সি চারু মণ্ডল জানিয়েছেন, গত কয়েকদিন ধরেই ভোরবেলা থেকে লাইনে দাঁড়িয়েও তিনি ভ্যাকসিন পাননি। রোজ ১০০ জনকে টিকা দেওয়া হয়। স্লিপ দেখিয়ে টিকা নেন অথচ যারা লাইনে থাকেন তাঁরা টিকা পান না। তাই এলাকাবাসীরা চাইছেন এভাবে ভ্যাকসিনের স্লিপ না দিয়ে লাইনের মাধ্যমেই টিকাকরণ হোক। যাতে স্বচ্ছ ভাবে টিকাকরণ হয়।
যদিও সব অভিযোগ অস্বীকার করেছেন গুমা এক নম্বর পঞ্চায়েত প্রধান জেসমিন সাহাজি। তিনি জানিয়েছেন, স্লিপ না দিলে অকারণে ভিড় বাড়বে। লাইন দিলেও মিলবে না ভ্যাকসিন। সেই কারণেই স্লিপ দেওয়া হচ্ছে।
আরও পড়ুন- রাতভর লাইন দিয়েও মিলল না ভ্যাকসিন, উত্তেজনা পুরুলিয়ায়
অশান্তির খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে আসে হাবরা থানার পুলিশ। আলোচনার পর পঞ্চায়েত প্রধান জানান, সোমবার ১০০ জনের পরিবর্তে ২০০ লোককে ভ্যাকসিন দেওয়া হবে। বাকি যারা ভ্যাকসিন জন্য লাইনে দাঁড়িয়ে রয়েছেন তাঁদের প্রত্যেককে স্লিপ দিয়ে দেওয়া হবে। যাতে তাঁরা মঙ্গলবার ভ্যাকসিন পান।