বেলজিয়াম-৩ রাশিয়া–০
(লুকাকু-২, মুনিয়ে)
ফিফা র্যাঙ্কিংয়ে এক নম্বর হয়ে বেলজিয়াম এবার খেলতে এসেছে ইউরোতে। প্রথম ম্যাচে তারা যেভাবে খড়কুটোর মতো উড়িয়ে দিল রাশিয়াকে, তাতে মনে হচ্ছে তারা এবার অনেক দূর যাবে। বেলজিয়ামের তারকা স্ট্রাইকার রোমেলু লুকাকু একা নয়, তাঁর সঙ্গী হয়েছিলেন থোমা মুনিয়ে। এবং দুজনে মিলেই নিধন করলেন রাশিয়াকে। তাও বেলজিয়াম পুরো শক্তি নিয়ে মাঠে নামতে পারেনি। চ্যাম্পিয়ন্স লিগ ফাইনালে নাকে চোট পেয়েছিলেন কেভিন দে ব্রূইন। তিনি এখনও ফিট হননি। অধিনায়ক এডেন হ্যাজার্ড এবং মিডফিল্ডার অ্যাক্সেল উইটসেল এখনও ম্যাচ ফিট নন। তাই তাদেরকে বাদ দিয়েই সেন্ট পিটাসবার্গে খেলতে নেমেছিল বেলজিয়াম। কিন্তু গোল করতে তারা বেশিক্ষণ সময় নেয়নি। ৩-৪-৩ ছকে দল সাজিয়েছিলেন রবের্তো মার্তিনেস। খেলার গতির বিরুদ্ধে সাত মিনিটে কর্নার পায় রাশিয়া। তাতে অবশ্য তারা কিছু করতে পারেনি। দশ মিনিটের মধ্যেই গোল করে ফেলেন লুকাকু। রাশিয়ার রক্ষণের ভুলে বল পেয়ে গোল করতে ভুল করেননি ইন্টার মিলান স্ট্রাইকার লুকাকু। গোল করেই টিভি চ্যানেলের ক্যামেরার সামনে গিয়ে ইন্টার মিলানে তাঁর সতীর্থ ক্রিশ্চিয়ান এরিকসনের উদ্দেশে লুকাকু বলেন, “ক্রিস…ক্রিস… আমি তোমাকে ভালবাসি।”
১৮ মিনিটে ফের গোল করার সুযোগ পেয়েছিলেন লুকাকু। কিন্তু তাঁর শট অল্পের জন্য লক্ষ্যভ্রষ্ট হয়। চার মিনিট পর থোগান হ্যাজার্ডের শট বাঁচিয়ে দেন রাশিয়ার গোলকিপার। তবে এর পরেই মাঠে সামান্য হলেও আতঙ্কের সৃষ্টি হয়। ২৫ মিনিটে হেড করার সময় বেলজিয়ামের টিমোথি ক্যাসটেনির সঙ্গে সংঘর্ষে মাথা ফেটে যায় রাশিয়ার দালের কুজয়াজেভের। মাথায় ব্যান্ডেজ বেঁধে তিনি মাঠে নামতে চাইলেও ঝুঁকি নেননি রাশিয়ার কোচ স্ট্যানিসলাস চের্চেসভ। ৩০ মিনিটে দালেরকে তুলে তিনি মাঠে নামান ডেনিস চেরিসেভকে। চার মিনিটের মধ্যেই গোল করে বেলজিয়ামকে ২-০ এগিয়ে দেন পরিবর্ত হিসেবে নামা মুনিয়ে।
বিরতির পরেও বেলজিয়ামের দাপট কমেনি। নিজেদের মাঠে ষোল হাজার সমর্থকের সামনে রাশিয়া কোনও লড়াইই করতে পারেনি। বেলজিয়ামের আক্রমণাত্মক ফুটবলের সামনে রীতিমতো নাজেহাল অবস্থা হয় তাদের। তবে বেলজিয়ামের তৃতীয় গোলটা এল ম্যাচ শেষ হওয়ার দুই মিনিট আগে। গোলদাতা সেই লুকাকু। মাঝ মাঠ থেকে মুনিয়ের পাস ধরে এগিয়ে গিয়ে আবার গোল করে বেলজিয়ামকে ৩-০ এগিয়ে দেন তিনি।