ইংল্যান্ড–১ ক্রোয়েশিয়া–০
(রহিম স্টার্লিং)
বিশ্ব কাপ সেমিফাইনালে হারের মধুর প্রতিশোধ নিল ইংল্যান্ড। রাশিয়া বিশ্ব কাপের সেমিফাইনালে ক্রোয়েশিয়ার কাছে ১-২ গোলে হেরে গিয়েছিল ইংল্যান্ড। তার পর উয়েফা নেশনস লিগে তারা ক্রোয়েশিয়াকে হারালেও রবিবারের জয় তাদের কাছে অনেক বেশি আনন্দের। কারণ এটা ইউরোর খেলা এবং ইংল্যান্ড জিতল তাদের দর্শকদের সামনে। ওয়েম্বলি স্টেডিয়ামে গ্রূপ ডি-র ম্যাচে ৫৭ মিনিটে গোল করে ইংল্যান্ডকে জেতালেন ম্যাঞ্চেস্টার সিটির স্ট্রাইকার রহিম স্টার্লিং।
এক গোলে জিতলেও গ্যারেথ সাউথগেটের টিমের খেলায় যে দাপট ছিল তাতে তারা আরও বেশি গোলে জিততে পারত। পাঁচ মিনিটের মাথায় ফিল ফডেনের শট পোস্টে লেগে ফিরে আসে। এর পর ম্যাচের সিংহ ভাগ চলে যায় ইংলিশ ফুটবলাদের পায়ে। তবে ক্রোয়েশিয়ার ডিফেন্সের কড়া মার্কিংয়ের জন্য ইংল্যান্ড গোল করতে পারেনি। রাশিয়াতে ক্রোয়েশিয়ার যে দলটা ইংল্যান্ডকে হারিয়েছিল তার থেকে রাকিটিচ এবং মান্ডুকিচ এদিন ছিলেন না। তাঁরা অবসর নিয়েছেন। কিন্তু লুকা মদ্রিচের ক্রোয়েশিয়া দলে ছিলেন কোভাশিচ এবং পেরিসিচ। মাঝ মাঠে মদ্রিচ এবং কোভাশিচ বল ধরে খেলার চেষ্টা করেছেন। পেরিসিচকে সামনে রেখে তারা আক্রমণে গেছে বার বার। কিন্তু ইংল্যান্ডের ব্যাক ফোর তাদের সেভাবে জায়গা দেয়নি। নব্বই মিনিটের ম্যাচে ইংল্যান্ড গোলকিপার জর্ডন পিকফোর্ডকে তেমন বলই ধরতে হয়নি।
সাউথগেট ৪-২-৩-১ ছকে দল সাজিয়েছিলেন। সামনে শুধু হ্যারি কেন। তাঁর পিছনে ফিল ফডেন, ম্যাসন মাউন্ট এবং রহিম স্টার্লিং। ম্যাঞ্চেস্টার ইউনাইটেড এবং লিভারপুলের কোনও প্লেয়ারকে দলে রাখেননি ইংল্যান্ড কোচ। তাঁর ভরসার জায়গা ছিল ম্যাঞ্চেস্টার সিটি এবং চেলসির প্লেয়াররা। তাঁরা তাঁকে হতাশ করেননি। তবে অধিনায়ক হ্যারি কেন এদিন প্রত্যাশা পূরণে ব্যর্থ। সারা ম্যাচে কেন এক বারও গোল করার মতো জায়গায় পৌছতে পারেননি। বা বলা ভাল তাঁকে সেই জায়গায় পৌছতে দেয়নি ক্রোট ডিফেন্স।
গোল শূণ্য প্রথমার্দ্ধের পর ৫৭ মিনিটেই গোল করে ফেলে ইংল্যান্ড। মাঝ মাঠ থেকে অনেকটা দৌড়ে বল নিয়ে ওঠেন মিডফিল্ডার কলভিন ফিলিপস। চমৎকার বল সাজিয়ে দেন স্টার্লিংয়ের জন্য। গোল করতে ভুল করেননি ম্যান সিটি স্ট্রাইকার। শেষ দিকে ফিল ফডেনকে তুলে নিয়ে মার্কাস র্যাশফোর্ডকে নামান সাউথগেট। তবে তখন ক্রোয়েশিয়া গোল শোধের জন্য মরিয়া হয়ে আক্রমণে আসছিল বার বার। বিপদ বুঝে হ্যারি কেনকে তুলে নিয়ে মাঝ মাঠের জ্যাক বেলিংহ্যামকে নামানো হয়। কিন্তু তখনও ক্রোয়েশিয়া দাপিয়ে বেড়াচ্ছিল। শেষ পাঁচ মিনিট খুবই চাপ সৃষ্টি করেছিল ক্রোয়েশিয়া। কিন্তু ইংলিশ ডিফেন্স তাদের গোলের মুখ খোলার জায়গা দেয়নি।
১৯৬৬-র বিশ্ব কাপ ছাড়া বড় আসরে কোনও ট্রফি নেই ইংল্যান্ডের। এবারের ইউরোতে তারা শুভ সূচনা করল বিশ্ব কাপ রানার্সকে হারিয়ে। এখন দেখার তারা কত দূর যেতে পারে।