ওয়েবডেস্ক- মেলার (Fair) আনন্দ বিষাদে পরিণত হল এক দোকানদারের রহস্যমৃত্যুকে ঘিরে। সেইসঙ্গে মেলায় খাদ্যে বিষক্রিয়ায় (Food poisoning) পাঁচ পুলিশকর্মী সহ ১৭ জন হাসপাতালে ভর্তি হয়েছে। দোকানদারের রহস্যমৃত্যুকে ঘিরে উঠেছে বিষক্রিয়ার তত্ত্ব। ঘটনায় চাঞ্চল্য ছড়িয়েছে বর্ধমান (Burdwan)
। পূর্ব বর্ধমান জেলার আউশগ্রামে তকিপুর গ্রামের এই ঘটনা ঘিরে শোরগোল পড়ে গিয়েছে। এখনও পর্যন্ত এই ঘটনায় ১৭ জনকে প্রাথমিক স্বাস্থ্যকেন্দ্রে নিয়ে যাওয়া হয়, সেখান থেকে বেশ কয়েকজনকে বর্ধমান মেডিক্যাল কলেজে স্থানান্তরিত করা হয়েছে। মৃত দোকানদারের নাম নওলেশ পণ্ডি। হাওড়ার বেলুড়ে বাসিন্দা ছিলেন তিনি। রবিবার বর্ধমান মেডিক্যাল কলেজ ও হাসপাতালে তার দেহ ময়নাতদন্তের জন্য পাঠানো হয়েছে।
তকিপুরে গ্রামে কালীপুজো উপলক্ষে মেলা বসেছে। বড়কালীর পুজো ঘিরে মানুষের সমাগম। এই পুজো ও মেলা উপলক্ষে গ্রামে পুলিশ মোতায়েন আছে। মেলা উপলক্ষ্যেই গ্রামের একটি বাড়িতে খাবারের ব্যবস্থার আয়োজন করা হয়েছে। সেখানে রেখা মিত্র নামে গ্রামেরই এক বাসিন্দার বাড়িতে খাবার খাওয়ার পরেই একে একে অসুস্থ হতে থাকেন পুলিশ কর্মী থেকে মেলার দোকানিরা। তবে রেখার দাবি, তার বাড়ির খাবার খেয়ে কেউ অসুস্থ হননি, যিনি মারা গিয়েছেন, তিনি তাঁর বাড়ির খাবার খাননি।
আরও পড়ুন- রাত পোহালেই ছটপুজো, বালুরঘাটে সক্রিয় প্রশাসন
রেখা জানান, ২০ বছর ধরে তিনি তাঁর বাড়িতে এই ধরনের আয়োজন করেন। মেনুতে থাকে ভাত, ডাল, পোস্ত, ডিমের কারি। মেলা উপলক্ষে অনেকেই এখানে খাবার খান। শনিবারও পুলিশ, দোকানি মিলিয়ে সকালে ও রাতে ৫০ জনের কাছাকাছি মানুষ খেয়েছেন। দু একজন অসুস্থ হয়েছেন। ওই খাবার তিনি নিজেও খেয়েছেন। তার রান্নায় কোনও সমস্যা ছিল না। যিনি মারা গিয়েছেন, শনিবারই বড় বেলুনের মেলা থেকে এসেছিলেন এখানে। অন্য কোনও কারণে মৃত্যু হতে পারে।
জানা গিয়েছে, এখনও পর্যন্ত পাঁচ পুলিশ কর্মী সহ ১৭ জন ডায়ারিয়ার উপসর্গ নিয়ে বর্ধমান মেডিক্যাল কলেজ ও হাসপাতালে ভর্তি। প্রাথমিক অনুমান, খাদ্যে বিষক্রিয়ার জন্যই তাঁরা অসুস্থ হয়ে পড়েছেন সকলে। তবে সবটাই তদন্ত সাপেক্ষ। কারণ ময়নাতদন্তের রিপোর্ট হাতে এলেই স্পষ্ট হবে।
দেখুন আরও খবর-