কলকাতা: বেহালায় পথ দুর্ঘটনায় মর্মান্তিক ভাবে মৃত্যু হয়েছে বড়িশা স্কুলের ছাত্র সৌরনীল সরকারের। তার মৃত্যু নাড়িয়ে দিয়েছে সকলকে, তুলেছে একাধিক প্রশ্ন। ওই ঘটনার আর পুনরাবৃত্তি যাতে না হয় তাই ছাত্র-ছাত্রী ও তাদের অভিভাবকদের নিয়ে ট্রাফিকের কর্মশালার আয়োজন করেছিল দক্ষিণ কলকাতার রামমোহন মিশন স্কুল। উদ্যোগে সহযোগিতা করেছে যাদবপুর থানা ও যাদবপুর ট্রাফিক গার্ডের আধিকারিকেরা।
সময়ের চেয়ে জীবনের মূল্য অনেক বেশি। কথাটা সকলেরই জানা। কিন্তু কতজন সেই কথাটা বাস্তবে মেনে চলেন? রাস্তা পারাপারের নিয়মকে বুড়ো আঙুল নয়, বরং তা মেনে চললেই মঙ্গল। গলফগ্রীনের রামমোহন মিশন স্কুলে ট্রাফিক নিয়ম-কানুন বা রাস্তা পারাপার সংক্রান্ত কর্মশালায় প্রথম থেকেই এটাই ছিল মূল আলোচ্য বিষয়। বেহালার ছোট্ট ছাত্র সৌরনীল সরকারের মৃত্যুর মর্মান্তিক স্মৃতি এখনো সকলের কাছেই তাজা। সেই ঘটনার পুনরাবৃত্তি যাতে না হয়। সেদিকে তাকিয়ে স্কুল পড়ুয়া বা তার অভিভাবকের জন্য ওই কর্মশালা বলে জানিয়েছেন স্কুল অধ্যক্ষ সুজয় বিশ্বাস।
আরও পড়ুন: দাঁতালের আক্রমণে গুরুতর জখম গ্রামবাসী, আতঙ্ক আলিপুরদুয়ারে
অনুষ্ঠানে উপস্থিত ট্রাফিকের আধিকারিকরা জানিয়েছেন, অধিকাংশ ক্ষেত্রেই দেখা গেছে তাড়াহুড়ো ও নিয়মকে বুড়ো আঙুল দেখানোর মানসিকতার জন্যই ঘটে যায় বড় বড় দুর্ঘটনা। পুলিশের ওই তত্ত্বকে মেনে নিয়েছেন কর্মশালায় উপস্থিত অভিভাবকেরা। রাস্তায় মোতায়েন ট্রাফিক পুলিশ স্কুলগুলোর সামনে তাদের দায়িত্ব সবসময় পালন করে। কিন্তু অভিভাবকদের নিজেদেরও সচেতন হতে হবে ও ট্রাফিকের নিয়ম মেনে চলতে হবে বলে জানিয়েছে অভিভাবকেরা।
২০২২ এ কলকাতা ও শহরতলীতে দুর্ঘটনায় ১২৮ জনের মৃত্যুর হয়েছিল। এ বছর এখনও পর্যন্ত সংখ্যাটা ৭৮। পুলিশ প্রশাসন ও রামমোহন মিশন স্কুল কর্তৃপক্ষ মনে করেন ওই সংখ্যাটা আরও কমিয়ে আনা সম্ভব। আর তা সম্ভব একমাত্র ট্রাফিক অর্থাৎ রাস্তা পারাপারের সঠিক নিয়ম মেনে চলার মধ্যে দিয়ে।