নন্দীগ্রাম: একই আসন থেকে পঞ্চায়েতে (Panchayat Election 2023) জয়ী দুই প্রার্থী। দুই প্রার্থীর হাতেই এপিআরও-র স্বাক্ষর করা জয়ের শংসাপত্র। এমনই ঘটনা সামনে এল নন্দীগ্রামের কেন্দামারি জালপাই পঞ্চায়েতের ( Kendamari Jalpai Panchayat of Nandigram) একটি আসনে। নন্দীগ্রাম ১ নম্বর ব্লকের পঞ্চায়েতের একটি আসনে সে নিয়ে শুরু হয়েছে চাপানউতোর।
নন্দীগ্রামের ওই আসনে জয়ী দুই প্রার্থী। একজন তৃণমূল প্রার্থী অন্য জন শাসকদলের টিকিট না পেয়ে নির্দল হয়ে দাঁড়ানো প্রার্থী। দুজনের কাছেই রয়েছে এপিআরও স্বাক্ষর করা জয়ের শংসাপত্র। কেন্দামারি গ্রামে এই ঘটনাকে কেন্দ্র করে শুরু হয়েছে রাজনৈতিক চাপানউতোর। নির্দল প্রার্থীর দাবি, প্রথমে জয়ী তাঁকে ঘোষণা করা হয় হয়। অন্যদিকে তৃণমূল প্রার্থীর দাবি, ভোটের ফল বেরোনোর কয়েকদিন পর তাঁকে ফোন করে জানানো হয়েছে তিনিই জিতেছেন। এ নিয়ে নির্দল প্রার্থী আদালতের দ্বারস্থ হবেন বলে জানিয়েছেন।
আরও পড়ুন: Paschim Medinipur | TMC | সবংয়ে বিজেপির জয়ী প্রার্থী তৃণমূলে, মন্ত্রীর উপস্থিতিতে যোগ
নন্দীগ্রাম ১ নম্বর ব্লকের কেন্দামারি জালপাই পঞ্চায়েতের ২২ টি আসনে মূলত তৃণমূল ও নির্দল প্রার্থীদের মধ্যে প্রতিদ্বন্দ্বিতা হয়েছে। তৃণমূলের প্রাক্তনরা টিকিট না পেয়ে নন্দীগ্রাম আঞ্চলিক উন্নয়ন পর্ষদের ব্যানারে দলের বিরুদ্ধেই প্রার্থী হন। জালপাই পঞ্চায়েতের ২১৭ নম্বর আসনে তৃণমূল প্রার্থী ছিলেন তাপসী দোলই। আবার নন্দীগ্রাম আঞ্চলিক উন্নয়ন পর্ষদের সর্মথন নিয়ে নির্দল প্রার্থী হয়ে ভোট দাঁড়ান রীতা বল্লভ। নির্দল প্রার্থী রীতা বল্লভের দাবি, ১১ জুলাই ভোট গণনার দিন, তাঁকে ১৮১ ভোটে জয়ী ঘোষণা করে এপিআরও-র সই ও স্ট্যাম্প-সহ শংসাপত্র দেওয়া হয়। জয়ের শংসাপত্র দেওয়ার সাতদিনের পর সোমবার, ওই প্রার্থীকে ফোন করে জানানো হয় ওই শংসাপত্রে ভুল রয়েছে। বিডিও অফিসে দেখা করতে বলা হয় তাঁকে। সেদিনই, তৃণমূলের প্রার্থীকে ১৮১ ভোটে জয়ী ঘোষণা করে শংসাপত্র দিয়ে দেওয়া হয়। তাতেও এপিআরও-র সই ও স্ট্যাম্প রয়েছে।
এরপরই চাপানউতোর শুরু হয়েছে। এই ঘটনা মানতে নারাজ নির্দল প্রার্থী। তিনি বলেন, তিনি জয়ের শংসাপত্র পেয়েছে বিডিও অফিস থেকে। এখন তৃণমূল প্রার্থীকে জয়ী ঘোষণা করা হলে অন্যায়। ন্যায় বিচারের আশায় আইনি পথে যাওয়ার হুঁশিয়ারিও দেন নির্দল প্রার্থী রীতা বল্লভ। বিডিও এবং রাজ্যপালের কাছে অভিযোগ জানিয়েছেন রীতা। তৃণমূল প্রার্থী তাপসী দোলই বলেন, আমার এজেন্ট আমাকে বলেছিল আমি হেরে গিয়েছি। কিন্তু সাইটে দেখেছিলাম ১৮১ ভোটে আমি জিতেছি। প্রশ্ন উঠছে কী করে একই আসনে দুই প্রার্থীকে জয়ের শংসাপত্র দেওয়া হয়েছে।