মেদিনীপুর: ভোটের প্রচারে অনেকটাই এগিয়ে গিয়েছেন মেদিনীপুর লোকসভা (Medinipur Lok Sabha) কেন্দ্রের তৃণমূল প্রার্থী জুন মালিয়া (Trinamool candidate June Mallya)। বিজেপি এখনও সেই কেন্দ্রের প্রার্থীর নাম ঘোষণা করেনি। বাম-কংগ্রেস সমঝোতার বিষয়টিও বিশ বাঁও জলে। এখন পর্যন্ত নির্বাচনী লড়াইয়ের ময়দানে একা জুন। অবশ্য তাতেও নিশ্চিন্ত হতে পারছেন না তৃণমূল প্রার্থী জুন। অস্বস্তি তাঁর নিজের দলকে নিয়েই। গোষ্ঠীদ্বন্দ্ব সেখানে একটা বড় ফ্যাক্টর। এর আগে দলীয় এবং প্রশাসনিক বৈঠকে একাধিকবার মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় (Mamata Banerjee) জেলার নেতাদের পইপই করে বলেছেন, তোমরা কেউ জুনকে ডিসটার্ব করবে না। জুন খুব ভালো কাজ করছে বিধায়ক হিসেবে। ওকে আমি আরও বড় দায়িত্ব দেব। তখনই ইঙ্গিত ছিল, জুনকে মেদিনীপুর কেন্দ্রে জুনকে প্রার্থী করবেন নেত্রী।
এদিকে নেত্রী বারবার বলার পরও মেদিনীপুরে তৃণমূলের গোষ্ঠীকোন্দল কমার কোনও লক্ষণ নেই। জুন অবশ্য তাতে খুব একটা চিন্তিত নন। তিনি অনুগামীদের নিয়ে দাপিয়ে প্রচার চালিয়ে যাচ্ছেন। মন্দির, মসজিদ, মাজারে ছুটে বেড়াচ্ছেন। সাড়াও পাচ্ছেন সাধারণ মানুষের কাছ থেকে। একে তিনি সেলেব প্রার্থী। তার উপর বিধায়ক হিসেবে তাঁর কাজের রেকর্ডও ভালো। সব চেয়ে বড় কথা, নেত্রীর আশীর্বাদের হাত রয়েছে মাথার উপর। তিনি সব গোষ্ঠীকে নিয়েই চলার চেষ্টা করছেন। গোষ্ঠীকোন্দলের জেরেই গত পঞ্চায়েত ভোটে মথুরা অঞ্চলের মদনমোহনপুর পঞ্চায়েত তৃণমূলের হাতছাড়া হয়।
আরও পড়ুন: ডায়মন্ড হারবারে অভিষেকের মুখোমুখি কি নওশাদ?
২০১৯ সালের লোকসভা ভোটে মেদিনীপুরে জয়ী হন বিজেপির দিলীপ ঘোষ। তিনি মেদিনীপুরের ভূমিপুত্র। তাছাড়া গত পাঁচ বছর ধরে তিনি মেদিনীপুর নিয়েই পড়ে রয়েছেন। জেলায় বিজেপি কিছুটা জমি তৈরি করে নিয়েছে। এই অবস্থায় দিলীপ এবার প্রার্থী হলে জুন কিছুটা চাপে পড়বেন বলে মনে করছে রাজনৈতিক মহল। বিজেপি এখনও এই কেন্দ্রের প্রার্থীর নাম ঘোষণা করেনি। দিলীপ আশাবাদী, তিনিই প্রার্থী হবেন। তবে তা নিয়েও টানাপড়েন চলছে।
বুধবার সন্ধ্যায় বৃষ্টি মাথায় করে মেদিনীপুর শহরের তিনটি মাজারে দোয়া সারেন জুন। তিনি বলেন, মানুষের ভালোবাসা পাচ্ছি। মাজারে প্রার্থনা করে গেলাম। বাংলার মানুষ যেন তাদের অধিকার অর্জন করে নিতে পারে। জুন বলছেন, মেদিনীপুরই এখন আমার ঘরবাড়ি। মেদিনীপুরের বাইরে আমি এখন আর কিছু ভাবছি না। তাঁর দাবি, দলে গোষ্ঠীকোন্দল বলে কিছু নেই।
অন্য খবর দেখুন