বাঁকুড়া: প্রচারের সময় প্রশ্ন করায় তৃণমূলের পঞ্চায়েত সমিতির সদস্যকে মারধরের অভিযোগ বিজেপি প্রার্থী সুভাষ সরকার ও কর্মীদের বিরুদ্ধে। সেই ভিডিও ভাইরাল সোশ্যাল মিডিয়ায়। যদিও সেই ভিডিওর সত্যতা যাচাই করেনি কলকাতা টিভি ডিজিটাল। তবে এই অভিযোগ অস্বীকার করেছেন বিজেপি প্রার্থী সুভাষ। বুধবার ঘটনাটি ঘটেছে, বাঁকুড়ার ছাতনা ব্লকের জগন্নাথপুর মোড় এলাকায়।
বুধবার প্রচার চলাকালীন তৃণমূলের পঞ্চায়েত সমিতির এক নির্বাচিত সদস্য সুভাষকে প্রশ্ন করলে তিনি ও তাঁর অনুগামীরা তাঁকে মারধর করে বলে অভিযোগ। ঘটনার সময়ের একটি ভিডিও সোশ্যাল মিডিয়ায় ভাইরাল হতেই নেটদুনিয়ায় চর্চা শুরু হয়ে গিয়েছে। যদিও এই অভিযোগ অস্বীকার করে সুভাষে পাল্টা দাবি, ওই ব্যক্তির হাতে পাঞ্চ ছিল। তাই তাঁকে সরিয়ে দিয়েছেন বিজেপির মহিলা কর্মীরা। কোনও মারধরের ঘটনা ঘটেনি।
আরও পড়ুন: শান্তিনিকেতনে বসন্ত উৎসব পালনে ফের বিতর্কে বিশ্বভারতী
জানা গিয়েছে, বুধবার সকালে দলের কর্মী সমর্থকদের নিয়ে বাঁকুড়ার ছাতনা ব্লকের তেঘরি গ্রাম পঞ্চায়েত এলাকায় প্রচারে যান সুভাষ। বিভিন্ন গ্রামে প্রচার করে তিনি হুড খোলা গাড়িতে করে জগন্নাথপুর মোড়ে হাজির হন। সেখানে স্থানীয় ছাতনা পঞ্চায়েত সমিতির তৃণমূল সদস্য আবীর মণ্ডল প্রশ্ন করেন, গত পাঁচ বছরে আপনি এলাকার জন্য কী কাজ করেছেন। আবিরের দাবি, এই প্রশ্ন করতেই সুভাষ তাঁকে ঘাড় ধাক্কা দেন। এরপরই সুভাষের সঙ্গে থাকা বিজেপি কর্মীরা তাঁর উপর চড়াও হয়ে ব্যাপক মারধর করে বলে অভিযোগ। সেই সময়ের একটি ভিডিও ফুটেজ দ্রুত ছড়িয়ে পড়ে সোশ্য়াল মিডিয়ায়। পরে ওই এলাকা ছেড়ে প্রচারে অন্যত্র চলে যান সুভাষ।
যদিও সুভাষে দাবি, শুধুমাত্র তেঘরি গ্রাম পঞ্চায়েত এলাকাতেই সাংসদ উন্নয়ন তহবিলের টাকায় বিপুল কাজ হয়েছে। তা তৃণমূলের হজম হয়নি। মোবাইলে ভিডিও করার উদ্যেশ্য নিয়ে ওই তৃণমূল নেতা হাতে পাঞ্চ নিয়ে প্রশ্ন করেছিলেন। হাতে পাঞ্চ থাকায় বিজেপির মহিলা কর্মীরা তাঁকে তাড়া করে নিয়ে গিয়েছে। বিজেপি কর্মীরাই তাঁকে বাঁচিয়েছে।
দেখুন আরও অন্যান্য খবর: