বীরভূম: এত কষ্ট করে, খুঁজে, বেছে এনে বীরভূম কেন্দ্রে একজন প্রার্থী দিয়েছিল, সেটাও গেল। টুইট করে বিজেপিকে খোঁচা বীরভূম লোকসভা কেন্দ্রের তৃণমূল প্রার্থী শতাব্দী রায়ের। শুক্রবার তৃণমূল প্রার্থী তাঁর নিজের এক্স হ্যান্ডেলে এই পোস্ট করে খোঁচা দিলেন বিজেপিকে।
প্রসঙ্গত, রাজ্য সরকারের কাছ থেকে হিসেব-নিকেশের ক্লিয়ারেন্স কোনও শংসাপত্র দিতে না পারায় দেবাশিস ধরের প্রার্থী পদ বাতিল করেছে নির্বাচন কমিশন। গতকালই এই খবর সামনে আসতে খুব কষ্ট হচ্ছে বলে প্রতিক্রিয়া দেন তৃণমূল প্রার্থী শতাব্দী। এমনকী টুইট করে বিজেপিকে কটাক্ষ করতে ছাড়েননি তিনি। আগামী ১৩ মে বীরভূমে চতুর্থ দফা লোকসভা নির্বাচন। তার আগে তৃণমূল প্রার্থী শতাব্দির বিজেপিকে খোঁচা ঘটনায় জেলার রাজনৈতিক মহলে শুরু হয়েছে বিতর্ক।
আরও পড়ুন: বীরভূমের বিজেপি প্রার্থী দেবাশিস ধরের মনোনয়ন বাতিল
পুলিশের চাকরির ছাড়ার সময় রাজ্য় সরকারের ছাড়পত্র পাননি তিনি। অথচ মনোনয়ন দাখিলের সময় সেই ছাড়পত্র জমা দেওয়া আবশ্যক। রাজ্যের সেই ছাড়পত্র দেখাতে না পারায় তাঁর মনোনয়ন বাতিল হল বলে জানিয়েছেন খোদ প্রার্থী দেবাশিস ধর। তবে তাঁর দাবি, সুপ্রিম কোর্টের ছাড়পত্র থাকার পরও মনোনয়নপত্র বাতিল হয়েছে। হাই কোর্টের দ্বারস্থ হচ্ছেন তিনি।
মনোনয়ন বাতিলের ইঙ্গিত আগেই মিলেছিল। সেদিন বীরভূমে সভা করেছিলেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় (Mamata Banerjee)। সেই সভা থেকেই সাফ জানিয়েছিলেন, সদ্য চাকরি ছাড়া আইপিএস আধিকারিক দেবাশিস ধরকে ‘নো ডিউস’ দেয়নি রাজ্য। অথচ মনোনয়নপত্র জমার সময় সেই ছাড়পত্র জমা করা দরকার বলেই খবর। তবে মনোনয়নপত্র বাতিল হয়ে গেলে হাত গুটিয়ে বসে থাকতে রাজি নয় বিজেপি।
এরকম কিছু হতে পারে বলে আগেই আশঙ্কা করেছিল বিজেপি। তাই বীরভূম কেন্দ্রে দেবাশিস ধরের বিকল্প প্রার্থী দিয়ে রেখেছে বিজেপি। মনোনয়ন জমা দেওয়ার শেষ দিনে রাজ্য সাধারণ সম্পাদক জগন্নাথ চট্টোপাধ্যায় নিজে দেবতনু ভট্টাচার্যের নামে বিকল্প প্রার্থীকে সঙ্গে করে নিয়ে এসে মনোনয়নপত্র জমা দেন।