কলকাতা টিভি ওয়েব ডেস্ক: লকডাউনে কাজ হারিয়েছেন অনেকেই। পুজোর বাজারের হাল ধরতেই অনলাইন ব্যবসাতেই আস্থা রাখছে রাজ্যের ক্ষুদ্র শিল্প ও বস্ত্র দফতর।
করোনার প্রকোপে গত দু বছর ধরে বেহাল পরিস্থিতি রাজ্যের ক্ষুদ্র শিল্পগুলির। উৎপাদন হলেও বাজারে ক্রেতার সংখ্যা কমেছে। ফলে ক্ষতির মুখে রাজ্যের তন্তুজ শিল্পীরা। তাই ব্যাবসার হাল ফেরাতে ই-কমার্সের ওয়েবসাইট গুলোকে ভালোভাবে ব্যবহার করার পরিকল্পনা নিয়েছে রাজ্য সরকার।
আরও পড়ুন মানসিক ভারসাম্যহীন শিশুকে চাইল্ড লাইনের হাতে তুলে দিল কৃষ্ণগঞ্জ থানার পুলিশ
তন্তুজ,তনুশ্রী ,মঞ্জুসার এর মতন তাঁত উৎপাদনকারী সংস্থার থেকে যে শাড়ি গুলি তৈরি করা হচ্ছে তার বাজার ভালোভাবে ধরতে মরিয়া রাজ্য বস্ত্র দফতর। কারণ করোনা পরিস্থিতির কারণে সকলেই প্রায় অভ্যস্ত অনলাইন বেচা কেনায়। তাই সেসব ক্রেতাদের উদ্দেশ্য করেই অনলাইনে বিক্রির চিন্তা ভাবনা করছেন তাঁরা।
শুধু শাড়ি নয়, পুজোর সময় ঘর সাজানোর জিনিসও অনলাইনে পাওয়া যাবে বলেই জানানো হয়েছে। ফলে হাতের কাছেই ক্ষুদ্র ও বস্ত্র শিল্পের বিভিন্ন সামগ্রী পেতে পারবেন ক্রেতারা। পরিকল্পনামাফিক একটি ওয়েব সাইটও চালু করা হয়েছে।
আরও পড়ুন অনলাইন পরীক্ষায় প্রতিবন্ধী ছাত্রছাত্রীরা পাবেন বাড়তি সময়, জানাল AICTE
প্রসঙ্গত, করোনা সংক্রমণের ভয়ে গত বছর থেকেই দোকান থেকে বেচা কেনার প্রবনতা কমেছে। স্পর্শহীন কেনা বেচার ক্ষেত্রে অনলাইনে ক্রেতার ঝোঁক বেড়েছে। যে কারণে লকডাউন এর জেরে গতবছর শোরুম এর ব্যবসা ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। সেই তুলনায় অনলাইনের মাধ্যমে ২.৭ কোটি টাকা আয় হয়েছে ।
আরও পড়ুন বন্যার ত্রাণের টাকায় ‘দুর্নীতি’, রাজ্যকে ভর্ৎসনা হাইকোর্টের
যার মধ্যে বেশির ভাগটাই শাড়ি বিক্রি করে। এবছর এপ্রিল থেকে জুলাই মাসের মধ্যে ৭৫ লক্ষ টাকার অনলাইন ব্যবসা করা হয়েছে। তাই পুজোর সময় আরও জোর কদমে অনলাইন ব্যবসার উপর জোর দিতে চাইছে রাজ্যের ক্ষুদ্র শিল্প ও বস্ত্র দফতর।গ্রাম ও শহর মিলিয়ে পশ্চিমবঙ্গ হস্তশিল্পে সারা ভারতবর্ষের মধ্যে এক নম্বরে রয়েছে। ১৬.৩ শতাংশ হস্তশিল্প প্রতিষ্ঠান রয়েছে রাজ্যে। স্বাভাবিকভাবেই, বাংলার হস্তশিল্প ও তাঁত প্রস্তুতকারকরা এখন ভালোভাবে ব্যবসা করতে পারবে বলেই মত একাংশের ।