কাকদ্বীপ: প্রথমে তৃণমূল কংগ্রেস করলেও পরে বিজেপিতে যোগ দেন মাধবচন্দ্র পড়ুয়া। আর সেটাই ছিল তাঁর সব থেকে বড় দোষ। অভিযোগ, তাই দীর্ঘদিন ধরে যাতায়াতের রাস্তাসহ বিদ্যুৎ মিলছে না ওই ব্যক্তির। এমনই ছবি ধরা পড়ল দক্ষিণ ২৪ পরগনার কাকদ্বীপের রবীন্দ্র গ্রাম পঞ্চায়েত নতুন বাজার এলাকায়। দীর্ঘ ১১ বছর ধরে রাস্তা সহ বাস্তু জায়গা কিনে বসতবাড়ি করে বসবাস করেন মাধব। এমনকী দলিলে উল্লেখিত নিজের কেনা রাস্তা দিয়ে যাতায়াত করছিলেন তিনি। শাসকদলের ভোট না দেওয়ার অভিযোগ তুলে দল থেকে সরিয়ে দেওয়া হয় তাঁকে। আর তারপর থেকেই চরম হেনস্থার শিকার হচ্ছেন বলে অভিযোগ তাঁর।
দেওয়া হচ্ছে না চলাচলের রাস্তা। বর্ষাকালেই এক কোমর জল থেকে স্ত্রী পুত্রকে নিয়ে কখনও লোকের বাঁশ বাগান কখনও বা জল ঝাপিয়ে মাঠের মধ্য থেকে যাতায়াত করতে হচ্ছে তাঁদের। এমনকী এখনও পর্যন্ত বাড়িতে বিদ্যুতের আলোও পৌঁছয়নি তাঁর বাড়িতে। স্থানীয় পঞ্চায়েত, প্রশাসন, শাসকদলকে জানিও কোনও সুরাহা মেলেনি বলে অভিযোগ। বিজেপি করার অপরাধে এই দুর্ভোগ বলে দাবি মাধবের।
আরও পড়ুন: গত এক সপ্তাহে হিট স্ট্রোকে মৃত্যু ৩৩ জনের
অন্যদিকে এ বিষয় নিয়ে শাসকদলের দাবি, এই ঘটনার সঙ্গে তৃণমূল কোনওভাবেই যুক্ত নয়। সম্পূর্ণটাই পারিবারিক বিষয়, উনি কার থেকে জায়গা কিনেছেন কী করেছেন তাঁর ব্যাপার। তবে প্রশ্ন উঠছে কোর্টের অর্ডার থাকা সত্ত্বেও কেন রাস্তা করতে দেওয়া হচ্ছে না মাধবচন্দ্র পড়ুয়াকে? বিজেপি করাই কি তাঁর অপরাধ, যে কারণে এতদিন ধরে রাস্তা হোক বা বিদ্যুৎ কোনও কিছুই পাচ্ছে না ওই স্থানীয় বাসিন্দা।
দেখুন আরও অন্যান্য খবর: