অবশেষে টানা চার বছর দীর্ঘ প্রতীক্ষার অবসান ঘটতে চলেছে হাওড়া এবং বালি পুরসভায়। সারা রাজ্যে পুর নির্বাচন হলেও এই দুই পুরসভায় এখনো পর্যন্ত ভোট করানো যায়নি। রাজভবনে ফাইল আটকে থাকায় দুই পুরসভায় ভোট হয়নি দীর্ঘ চার বছর। অবশেষে জটিলতা কেটে যাওয়ার সম্ভাবনার কথা মাথায় রেখে হাওড়া এবং বালি পুরসভায় ওয়ার্ড বিন্যাসের কাজ শুরু করে দিল হাওড়া জেলা প্রশাসন। সেই কাজ শেষ হলে পুজোর পরেই এই দুই পুরসভায় নির্বাচন হওয়ার আশা করছেন ওয়াকিবহাল মহল।
কলকাতা সহ রাজ্যের সমস্ত পুরসভায় নির্বাচন হয়ে গিয়েছে। নির্বাচন শুধু বাকি হাওড়া এবং বালি পুরসভায়। আইনি জটিলতায় এই দুই পুরসভার নির্বাচন সংক্রান্ত ফাইল রাজভবনে আটকে দিয়েছেন প্রাক্তন রাজ্যপাল জগদীপ ধনকর। বালিকে হাওড়া পুরসভার সঙ্গে সংযুক্তিকরণ ঘটিয়ে ভোট করতে চেয়েছিল রাজ্য সরকার। তাতেই আপত্তি তুলেছে রাজভবন। কথা মাথায় রেখে এবার রাজ্য সরকার সিদ্ধান্ত নিতে চলেছে, বালিকে আলাদা রেখে ই হাওড়া পুরসভায় ভোট করা হবে। হাওড়ার পরে ভোট হবে বালিতে। তাতে রাজভবনের আপত্তি থাকার কথা নয়। সেই মতোই প্রস্তুতি শুরু হয়ে গিয়েছে ওই দুই পুরসভায়।
শুরু হয়ে গিয়েছে ওয়ার্ড বিন্যাসের কাজ। এলাকার জনসংখ্যা এবং আয়তনের ভিত্তিতে ওয়ার্ড ভাঙ্গার কাজ শুরু করে দিয়েছে প্রশাসন। এই কাজ শেষ হলে হাওড়া পুরসভার ওয়ার্ড সংখ্যা বেড়ে দাঁড়াবে ৬৬টি। জেলা প্রশাসন সূত্রে জানা গিয়েছে, দক্ষিণ হাওড়া এবং শিবপুর বিধানসভা এলাকাগুলিতেই ওয়ার্ডের সংখ্যা বেশি বাড়তে চলেছে। যে সমস্ত ওয়ার্ডগুলি ভাঙ্গা হবে সেগুলি হল-৫০,৪৯,৪৮,৪৭,৪১,৪৫,৩৯,৩৭ প্রভৃতি। ওয়ার্ড পুনর্ববিন্যাসের ক্ষেত্রে খুব একটা প্রভাব পড়বে না মধ্য হাওড়া এবং উত্তর হাওড়ায়। আগে হাওড়ায় ছিল ৫০টি ওয়ার্ড। আগামী দিনে সেটি বেড়ে হবে ৬৬। পাশাপাশি বালি পুরসভাতেও এই কাজ শুরু হয়ে গিয়েছে। আগে বালিতে ছিল ১৬টি ওয়ার্ড। ডিলিমিটেশন হলে সেই সংখ্যাটা বেড়ে দাঁড়াবে ৩৫। পাশাপাশি চলছে ওয়ার্ড সংরক্ষণের কাজ।
২০১৩ সালে হাওড়া পুরসভায় ক্ষমতায় আসে তৃণমূল কংগ্রেস। এরপর বালির ১৬টি ওয়ার্ডকে হাওড়া পুরসভার সঙ্গে সংযুক্তিকরণ ঘটানো হয়। ২০১৮ সালে হাওড়া পুরসভার বোর্ড ভেঙে যায়। তারপর থেকে আর নির্বাচন হয়নি।