জলপাইগুড়ি: প্রায় দিনই সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে দেরি করে আসছেন শিক্ষক-শিক্ষিকারা বলে অভিযোগ। বার বার প্রতিবাদ করলেও শিক্ষক-শিক্ষিকেরা সঠিক সময়ে স্কুলে আসছেন না বলে অভিযোগ। জলপাইগুড়ির সদর ব্লকের পাহাড়পুর গ্রাম পঞ্চায়েতের গোমস্তা পাড়া চন্দ্রমোহন প্রাথমিক বিদ্যালয়ের ঘটনা। সংবাদ মাধ্যমকে দেখে শিক্ষক-শিক্ষিকারা একের পর এক অজুহাত দেখিয়ে অবশেষে নিজেদের ভুল স্বীকার করে নেন।
শিক্ষা দফতরের নির্দেশিকা অনুযায়ী, সকাল ১১টার আগে স্কুলে আসার কথা শিক্ষকদের। এরপরেও একাংশ শিক্ষক-শিক্ষিকা সময় মত স্কুলে আসেন না। এই অভিযোগ দীর্ঘদিন চন্দ্রমোহন প্রাথমিক বিদ্যালয়ে। এই স্কুলে মোট ছ’জন শিক্ষক-শিক্ষিকা কর্মরত। দু’জন শিক্ষক ছুটি নিয়েছেন হুজুর সাহেব মেলাকে কেন্দ্র করে। চারজন শিক্ষিক- শিক্ষিকা স্কুলে আসার কথা। গ্রামবাসীর অভিযোগ, প্রায় প্রতিদিনই পড়ুয়ারা স্কুলে এসে বসে থাকে। শিক্ষক-শিক্ষিকারা কেউ ১১টা কেউবা তার অনেক পর স্কুলে আসেন।
সোমবার সকালে অনেক পডুয়া স্কুলে এসে বসেছিল। শিক্ষক-শিক্ষিকারা না আসায় পড়ুয়ারা বাড়ি ফিরে যেতে চায়। সেই সময় একে একে স্কুলে শিক্ষক-শিক্ষিকারা হাজির হন। গ্রামবাসী বিক্রম রায় বলেন,প্রায়দিনই স্কুলে শিক্ষক-শিক্ষিকারা দেরি করে আসছেন। আজকে পড়ুয়ারা স্কুলে এসে অনেকক্ষণ বসে ছিল। এরপর বাড়ি ফিরে যাচ্ছিল। সেই সময় শিক্ষক-শিক্ষিকারা আসেন। আমরা চাই স্কুল সঠিক সময়ে শুরু হোক।
এদিকে স্কুলের এক শিক্ষিকা গোলাপী সরকারকে এ ব্য়াপারে জিজ্ঞাসা করা হলে তিনি বিভিন্ন অজুহাত দেখিয়ে পরে অবশ্য নিজের ভুল স্বীকার করে নেন। এদিকে বিদ্যালয়ের টিচার ইন চার্জ হবিবর রহমান বলেন, আমি প্রত্যেক দিন সাড়ে ১০টার আগে স্কুলে আসি। আজকে গাড়ির টায়ার পাম্পচার হয়ে যাওয়ার দেরি হয়েছে।