কলকাতা: তৃণমূলে আরও ভাঙনের ইঙ্গিত দিলেন দল ছেড়ে সদ্য বিজেপিতে যোগ দেওয়া বিধায়ক তাপস রায়। বৃহস্পতিবার রাজ্য বিধানসভার স্পিকার বিমান বন্দ্যোপাধ্যায় তাপসের তৃণমূল বিধায়ক পদে ইস্তফাপত্র গ্রহণ করেন। এর আগে বিজেপির বেশ কয়েকজন বিধায়ক তৃণমূলে যোগ দিয়েছেন। কিন্তু কেউ আজ পর্যন্ত বিধায়ক পদে ইস্তফা দেননি। তাঁরা খাতায় কলমে বিজেপি বিধায়কই রয়ে গিয়েছেন। এঁদের মধ্যে আছেন বিজেপির টিকিটে কৃষ্ণনগর উত্তর কেন্দ্র থেকে জিতে আসা বিধায়ক মুকুল রায়ও। তিনি তৃণমূল নেত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের উপস্থিতিতেই তৃণমূলে যোগ দিয়েছিলেন।
এদিন বিধানসভা ভবনে সাংবাদিকরা তাপসকে প্রশ্ন করেন, যে ব্যথা-বেদনা নিয়ে তিনি দল ছাড়লেন, নতুন দলে গিয়ে কি তার কিছুটা উপশম হবে। জবাবে তাপস বলেন, ব্যথা-বেদনা শুধু আমার নয়, এই দলে অনেকেরই আছে। দেখতে থাকুন, আগামিদিনে অনেকেই এই বেদনার উপশমের পথ খুঁজবেন।
আরও পড়ুন: বিজেপিতে ভাঙন, তৃণমূলে যোগ রানাঘাট দক্ষিণের বিধায়ক মুকুটমণির
তাপসের ইস্তফাপত্রে কিছু পদ্ধতিগত ত্রুটি থাকায় স্পিকার তা গ্রহণ করেননি। তিনি তাপসকে বৃহস্পতিবার বিধানসভায় ডেকে পাঠান। তাপস নতুন করে ইস্তফাপত্র তুলে দেন স্পিকারের হাতে। পরে বিমান বলেন, ওই বিধায়ক কারও দ্বারা প্রভাবিত হয়ে বা কোনও ভয়ভীতি প্রদর্শনের কারণে ইস্তফা দেননি বলে জানিয়েছেন। তিনি দীর্ঘদিন রাজ্য বিধানসভার সদস্য ছিলেন। রাজনীতিতে অনেক পথ একসঙ্গে হেঁটেছি আমরা। খারাপ লাগছে তাঁর ইস্তফাপত্র গ্রহণ করতে। সেই খারাপ লাগা মেনে নিয়েই আমাদের কাজ করে যেতে হবে।
তাপস বলেন, স্পিকারের সঙ্গে দীর্ঘদিনের সম্পর্ক। অনেক লড়াই এবং সংগ্রামে আমরা একসঙ্গে পথ হেঁটেছি। ১৯৮৫ সালে আমরা কলকাতা পুরসভার কাউন্সিলর ছিলাম। তাঁর সঙ্গে কথা হল। তিনি আমার ইস্তফাপত্র গ্রহণ করেছেন। তাতে কারণ দর্শানো যায় না বলে আমি কোনও কারণ দেখাইনি।
গত সোমবার রাজ্য বিধানসভার তৃণমূল সদস্যপদে ইস্তফা দেন। সরকারি সমস্ত পদও তিনি ছেড়ে দেন। ছাড়েন সরকারি গাড়ি এবং নিরাপত্তারক্ষীও। বুধবার বিধাননগরে দলের রাজ্য দফতরে গিয়ে বিজেপিতে যোগ দেন বর্ষীয়ান এই নেতা।