মনা বীরবংশী, শান্তিনিকেতন: অনুব্রত মণ্ডলের হুঁশিয়ারি, নির্ধারিত সময় সূচির আগেই বিশ্বভারতীর উপাচার্য দফতর ঘেরাও করল বিশ্বভারতীর আন্দোলনরত ছাত্র ছাত্রীরা। উপাচার্য অফিসে না থাকলেও, তার আপ্ত সহায়ক তনময় নাগ সহ অন্যান্য উপাচার্য দফতরের কর্মীদেরকে ঘেরাও। উপাচার্য দফতরের কর্মীরা বেরোতে গেলে আন্দোলনকারী পড়ুয়াদের সাথে বচসা। ব্যাপক উত্তেজনা সেন্ট্রাল অফিস চত্বরে।
বিশ্বভারতীর ছাত্র-ছাত্রী ও অধ্যাপকদের একটা বড় অংশের দাবি, উপাচার্য অধ্যাপক বিদ্যুৎ চক্রবর্তী উপাচার্য চেয়ারের ক্ষমতা অপব্যবহার করে সম্পূর্ণ অনৈতিকভাবে ছাত্র-ছাত্রী, অধ্যাপক, কর্মীদের শাস্তি দিচ্ছে। উপাচার্যের বিরুদ্ধে মুখ খুললেই বিশেষ করে আন্দোলনরত পড়ুয়া ও অধ্যাপকদের কাউকে বহিষ্কার ও সাসপেন্ড করে দেওয়া হচ্ছে। এরই প্রতিবাদে এই ঘেরাও কর্মসূচি বিশ্বভারতী স্টুডেন্টদের। খুব স্বাভাবিক ভাবেই চাঞ্চল্যকর পরিবেশ বিশ্বভারতী বিশ্ববিদ্যালয় চত্বরে। আন্দোলনকারী পড়ুয়াদের দাবি না মানলে তাদের এই আন্দোলন কর্মসূচি চালিয়ে যাবে।
আরও পড়ুন- শহরে আচমকা হানা দিল দিল্লি পুলিশের ক্রাইম ব্রাঞ্চ, ধৃত ৩ জালিয়াত
বিশ্বভারতীর উপাচার্য দফতরের সামনে আন্দোলনরত পড়ুয়াদের কানে খবর আসে উপাচার্য মহাশয় অফিসে নেই। আন্দোলন স্থানান্তর হয় উপাচার্যের বাসভবন পূর্বিতাতে। উপাচার্য অধ্যাপক বিদ্যুৎ চক্রবর্তী বাসভবনের সামনে বিশ্বভারতীর বহিস্কৃত ও বেশকিছু সাধারণ ছাত্রছাত্রীরা অবস্থান বিক্ষোভে বসেছে। কবিগুরু রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের কর্মভূমি শান্তিনিকেতন বিশ্বভারতী বিশ্ববিদ্যালয় চত্বরে আন্দোলনরত পড়ুয়ারা রবীন্দ্র সংগীত এর মধ্য দিয়ে অবস্থান-বিক্ষোভ চালিয়ে যাচ্ছে।
পড়ুয়াদের দাবি, বিশ্বভারতীর উপাচার্য অধ্যাপক বিদ্যুৎ চক্রবর্তী উপাচার্যের চেয়ারে বসার পর থেকেই একের পর এক বিতর্ক সৃষ্টি হয়েছে বিশ্বভারতী বিশ্ববিদ্যালয় এলাকায়। উপাচার্য কখনো রবীন্দ্রনাথকে বলেছেন বহিরাগত। কখন আবার ছাত্র-ছাত্রীদের মাওবাদী তকমা দিয়েছে। বিভিন্ন রকম বিশ্বভারতীর সংবিধান বিরোধী অনৈতিক ক্রিয়াকর্ম চালিয়ে যাচ্ছেন। যখনই পড়ুয়া, অধ্যাপক কর্মী আন্দোলন করছে তখনই উপাচার্য কাউকে সাসপেন্ড অথবা কাউকে বহিষ্কার করেছে।
আরও পড়ুন- কাবুল বিমানবন্দরে বিস্ফোরণের তীব্র নিন্দা জানাল তৃণমূল
তাই নাছোড়বান্দা পড়ুয়ারাও। উপাচার্য অধ্যাপক বিদ্যুৎ চক্রবর্তী কে বিশ্ববিদ্যালয় ক্যাম্পাস না ছাড়া করানো পর্যন্ত বসে থাকবে না। তাই তারা লাগাতার এই আন্দোলন কর্মসূচি চালিয়ে যাবে বলে জানিয়েছে। খুব স্বাভাবিক ভাবেই কবিগুরু রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের কর্মভূমি শান্তিনিকেতনের মাটিতে আন্দোলন আরো শক্তিশালী হচ্ছে তা বলাই বাহুল্য। যদিও গভীর রাত পর্যন্ত এ বিষয়ে বিশ্বভারতী বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষের সঙ্গে যোগাযোগ করা হলে কোনো উত্তর দেননি।