নির্বাচনী প্রতিশ্রুতি রাখলেন মমতা। চালু হচ্ছে স্টুডেন্ট ক্রেডিট কার্ড। আজ নবান্নে সাংবাদিক সম্মেলনে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় জানান, ৩০ জুন থেকে স্টুডেন্ট ক্রেডিট কার্ড চালু হচ্ছে। দশম শ্রেণি থেকেই এই প্রকল্পের সুবিধা পাবেন পড়ুয়ারা। এই কার্ডের মাধ্যমে ১০ লক্ষ টাকা পর্যন্ত লোন নিতে পারবেন পড়ুয়ারা। ৪০ বছর বয়স পর্যন্ত ক্রেডিট কার্ডের সুবিধা পাওয়া যাবে। সরকারই থাকবে ক্রেডিট কার্ডের গ্যারেন্টার।
মুখ্যমন্ত্রী সাংবাদিক সম্মেলনে বলেন, এই টাকা স্নাতক, স্নাতকোত্তর, পেশাভিত্তিক কোর্স, গবেষণায় খরচ করা যাবে। যারা ১০ পশ্চিমবঙ্গে বসবাস করছেন, তাঁদের সকলে দেশে বা বিদেশে কোনও প্রতিষ্ঠানে এই টাকায় পড়াশোনা করতে পারবেন। পড়াশোনার জন্য বাবা-মায়েদের যেরকম চিন্তা করতে হয়, তা আর করার প্রয়োজন নেই। রাজ্য সরকার আপনাদের পাশে আছে। পড়াশোনার জন্য ঘরবাড়ি বেচতে হবে না। ১০ লক্ষ টাকা পর্যন্ত ঋণে পশ্চিমবঙ্গ সরকারই গ্যারেন্টার হবে। যা ক্রেডিট হবে তা ফেরত দেওয়ার জন্য চাকরি পাওয়ার পর ১৫ বছর সময় পাবেন পড়ুয়ারা।
পিএসি’র চেয়ারম্যান নির্বাচন নিয়েও বৃহস্পতিবার আত্মবিশ্বাসী সুর শোনা গিয়েছে মমতার গলায়। তাঁর বক্তব্য, ‘PAC-এর জন্য যে কেউ মনোনয়ন জমা দিতে পারে। মুকুল রায় তো বিজেপির বিধায়ক অসুবিধা কোথায়! তাছাড়া পাহাড়ের মোর্চারা সমর্থন করেছে। আমরাও সমর্থন করব। কার কত শক্তি আছে দেখব। পারলে ঠেকাক৷’ নিয়ম অনুযায়ী পাবলিক অ্যাকাউন্টস কমিটির চেয়ারম্যান পদ পায় বিরোধীরা৷ একুশের নির্বাচনের পর রাজ্যের প্রধান বিরোধী দল হয়ে উঠেছে বিজেপি৷ অতএব তারাই ওই পদের দাবিদার৷ কিন্তু জটিলতা তৈরি হয়েছে মুকুল রায়ের মনোনয়নকে ঘিরে৷ বিজেপির বিধায়ক হয়েও এখন তিনি তৃণমূলে৷
পিএসি-র চেয়ারম্যান পদের জন্য তিনিও মনোনয়ন জমা দিয়েছেন৷ যা নিয়ে তৈরি হয়েছে জটিলতা। মুকুল রায়ের প্রস্তাবক কালিম্পয়ের বিধায়ক রুডেন লেপচা। যিনি গোর্খা জনমুক্তি মোর্চার বিনপন্থী অংশের নেতা। অন্যদিকে ছয় জনের নাম প্রস্তাব করেছে বিজেপি। তালিকায় রয়েছেন অশোক লাহিড়ী, শুভেন্দু অধিকারী, বঙ্কিম ঘোষ, অম্বিকা রায়, বিবেকানন্দ বাউড়ি, নিখিলরঞ্জন দে এবং তরুণ মাইতি। সূত্রের খবর, তৃণমূলের তরফে ১৪ জনের নাম জমা পড়েছে। এবার স্পিকার ঠিক করবেন কার নাম PAC-র চেয়ারম্যান পদে প্রস্তাব করা হবে৷