জলপাইগুড়ি: করোনাকালে ক্ষতিগ্রস্ত হওয়া জলপাইগুড়ি (Jalpaiguri) জেলার ১৪০টি প্রাথমিক স্কুল ভবনের সংস্কার (School Renovation) করতে চলেছে রাজ্য সরকার। করোনা পরিস্থিতির সময় প্রায় তিন বছর ধরে বিদ্যালয়গুলো বন্ধ থাকায় ক্লাসরুমগুলো ভীষণভাবে ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছিল। জেলার ৯টি ব্লকের বিভিন্ন এলাকায় রয়েছে এই স্কুলগুলো। সবমিলিয়ে ১৪০টি স্কুল ঘর সংস্কার করতে খরচ করা হবে ৬ কোটি ২৭ লক্ষ টাকা। জলপাইগুড়ির সুনীতিবালা সদর বালিকা বিদ্যালয়ে আয়োজিত একটি অনুষ্ঠানে এসে এই খবর জানান জেলা প্রাথমিক বিদ্যালয় সংসদের চেয়ারম্যান লক্ষ্যমোহন রায়। তিনি বলেন, করোনা পরিস্থিতির সময় প্রায় তিন বছর ধরে বন্ধ ছিল জলপাইগুড়ির সমস্ত প্রাথমিক স্কুল। দীর্ঘদিন ধরে স্কুলঘরগুলো বন্ধ থাকায় কিছু ক্লাসরুম ব্যাপকভাবে ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। সেই স্কুলগুলোর মধ্যে ইতিমধ্যেই অনেক স্কুলের সংস্কার করা হয়েছে। এরমধ্যে আরও কিছু স্কুলের সংস্কার প্রয়োজন ছিল।
আরও পড়ুন: আমাকে গুন্ডামি করতে বাধ্য করবেন না, তৃণমূলকে হুঁশিয়ারি সুকান্তর
করোনা পরিস্থিতির সময় প্রায় তিন বছর ধরে বন্ধ ছিল জলপাইগুড়ির সমস্ত প্রাথমিক স্কুল। দীর্ঘদিন ধরে স্কুলঘরগুলো বন্ধ থাকায় কিছু ক্লাসরুম ব্যাপকভাবে ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। বন্ধ থাকায় স্কুলভবনের বেশ কিছু অংশের মেরামতিরও প্রয়োজন হয়ে পড়েছে।সেই সব ক্ষতিগ্রস্ত স্কুলগুলি জেলা প্রাথমিক বিদ্যালয় সংসদের পক্ষ থেকে ইঞ্জিনিয়াররা ঘুরে ঘুরে সমস্ত তথ্য সংগ্রহ করেছেন। সবমিলিয়ে জেলার ১৪০টি স্কুলের সংস্কারের প্রয়োজন রয়েছে বলে রিপোর্ট তৈরি করা হয়। সেই রিপোর্ট অনুযায়ী স্কুলঘর সংস্কার করার জন্য ৬ কোটি ২৭ লক্ষ টাকা বরাদ্দ করেছে রাজ্য সরকার। জলপাইগুড়ির সুনীতিবালা সদর প্রাথমিক বিদ্যালয়ে আনুষ্ঠানিকভাবে এই কাজের শুভারম্ভ করেন ডিপিএসসি চেয়ারম্যান লক্ষ্যমোহন রায়। তিনি জানান, সুনীতিবালা সদর বালিকা বিদ্যালয়ের জন্য ৪ লক্ষ ৮৮ হাজার টাকা বরাদ্দ করা হয়েছে। এই অর্থের মাধ্যমে বিদ্যালয়ের ক্ষতিগ্রস্ত ঘরগুলোকে সংস্কার করার উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে।
অন্য খবর দেখুন