মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় বৃহস্পতিবারই ইঙ্গিত দিয়েছিলেন, এখনই লোকাল ট্রেন চালাতে চায় না রাজ্য। এদিকে স্টাফ স্পেশালে ভিড় বেড়েই চলেছে। ট্রেন চালানোর দাবিতে ইতিমধ্যে শিয়ালদহ ডিভিশনের বিভিন্ন স্টেশনে শুরু হয়েছে বিক্ষোভ, অবরোধ। এই পরিস্থিতিতে অফিস যাত্রীদের কথা ভেবে একধাক্কায় স্টাফ স্পেশালের সংখ্যা অনেকটাই বাড়াল রেল।
আরও পড়ুন: সংক্রমের হার নিম্নমুখী, চিন্তা বাড়াচ্ছে ডেল্টা ভ্যারিয়েন্ট
শুক্রবার ৪০টি অতিরিক্ত ট্রেন চলবে শিয়ালদহ ডিভিশনে। শনি-রবি অধিকাংশ অফিস ছুটি থাকায় ট্রেনের সংখ্যা একই থাকবে। সোমবার থেকে ট্রেনের সংখ্যা আরও বাড়ানো হবে। ৬০টি অতিরিক্ত ট্রেন চলবে সপ্তাহের প্রথম কাজের দিন থেকে। অর্থাৎ, শিয়ালদহ শাখায় মোট ১০০টি ট্রেন বাড়ছে। সোমবার থেকে শিয়ালদহ ডিভিশনে ৩৫৯টি ট্রেন চলবে। হাওড়া ডিভিশনেও সোমবার থেকে ১০০টি ট্রেন বাড়ছে। ২৫৪টি ট্রেন চলবে হাওড়া ডিভিশনে।
দ্বিতীয় ঢেউয়ের মোকাবিলায় ৬ মে থেকে রাজ্যে লোকাল ট্রেন চলাচল বন্ধ রয়েছে। এর কয়েক দিনের মধ্যে রাজ্যে কড়া বিধি-নিষেধ চালু করা হয়। রাজ্যে লোকাল ট্রেনের পাশাপশি বাস, লঞ্চ ইত্যাদি গণপরিবহণ ব্যবস্থা পুরোপুরি বন্ধ করে দেওয়া হয়। ৩০ জুন পর্যন্ত বিধি-নিষেধ জারি করেছে রাজ্য সরকার। ১ জুলাই থেকে লোকাল ট্রেন-সহ অন্যান্য গণ পরিবহণ চালু হতে পারে আশা করা হচ্ছিল।
আরও পড়ুন: ফাঁকা সিরিঞ্জ ঢুকে গেল শরীরে, ভাইরাল ভিডিও
কিন্তু বৃহস্পতিবার মুখ্যমন্ত্রীর বক্তব্য স্পষ্ট লোকাল চালানো নিয়ে ধীরে চলো নীতি নিতে চলেছে রাজ্য সরকার। সাংবাদিক বৈঠকে লোকাল ট্রেনের ব্যাপারে মমতা বলেন, এখন এ সব প্রশ্ন করবেন না। আগে করোনা পরিস্থিতি সামলাতে দিন। এখনই ট্রেন চালালে করোনা সংক্রমণ বেড়ে যেতে পারে। মমতার বক্তব্যের পরই তড়িঘড়ি বৈঠকে বসে স্টাফ স্পেশাল ট্রেন বাড়ানোর সিদ্ধান্ত নেয় রেল।