কলকাতা: ডিসেম্বরের শেষ থেকে বাংলায় হু হু করে বাড়ছিল করোনা আক্রান্তের (Covid19) সংখ্যা। সংক্রমণের হার একটা সময় ৩০ ছাড়িয়ে গিয়েছিল। চিকিৎসকদের অনেকেই দাবি করেছিলেন, করোনার তৃতীয় ঢেউ হাজির হয়েছে বঙ্গে। এই পরিস্থিতিতে বিধিনিষেধ জারি করে রাজ্য সরকার। জানুয়ারির শুরু থেকে বন্ধ হয়ে যায় স্কুল-কলেজ। আপাতত করোনার দাপট অনেকটাই কমেছে। বেশ কিছুদিন থেকেই নানামহল থেকে স্কুল খোলার (School Reopening) দাবি উঠছিল। এবার এই বিষয়ে চিন্তাভাবনা শুরু করল রাজ্য সরকার।
সূত্রের খবর, নবম থেকে দ্বাদশ শ্রেণির স্কুল খোলার ব্যাপারে শিক্ষা দফতর রাজ্যের সংশ্লিষ্ট অফিসারদের সঙ্গে আলোচনা করেছে। শুক্রবার স্কুল খোলার বিষয়ে এক দফা কথা হয়েছে। এ ব্যাপারে বিশেষজ্ঞ কমিটি চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত নেবে। একই সঙ্গে পড়ুয়াদের স্বাস্থ্যের বিষয় নিয়ে স্বাস্থ্য দফতরের সঙ্গে আলোচনা করে মতামত নেওয়া হবে। সূত্রের খবর, আগের মতো ধাপে ধাপে স্কুল খোলার পক্ষেই প্রস্তাব পেশ করেছে শিক্ষা দফতর। বিশেষজ্ঞদের মতে, ওমিক্রন ততটা মারাত্মক নয় বলেই স্কুল খোলার কথা ভাবছে সরকার।
শুক্রবার স্কুল খোলা নিয়ে মুখ্যসচিবকে প্রস্তাব দেয় রাজ্য সরকার। সূত্রের খবর, শিক্ষা দফতরের এই প্রস্তাব গুরুত্বের সঙ্গে বিবেচনা করছেন মুখ্যসচিব। সোমবার থেকে মহারাষ্ট্রে সব শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান খুলে দেওয়া হচ্ছে। বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার কর্তারাও স্কুল খোলার পক্ষে সওয়াল করেছেন। হাই কোর্টেও স্কুল খোলা নিয়ে জনস্বার্থ মামলা দায়ের হয়েছে। সামাজিক মাধ্যমেও স্কুল খোলার দাবি উঠতে শুরু করেছে। এই পরিস্থিতিতে এবার বাংলায় স্কুলের দরজা খুলতে পারে। ফেব্রুয়ারির প্রথম সপ্তাহ থেকে স্কুল খোলার সম্ভাবনা রয়েছে।
আরও পড়ুন: WB Corona: কিছুটা কমল রাজ্যের দৈনিক করোনা সংক্রমণ, রাশ টানা যাচ্ছে না মৃত্যু সংখ্যায়
করোনার জেরে ২০২০-র মার্চ থেকে প্রায় ২ বছর রাজ্যের শিক্ষা প্রতিষ্ঠান বন্ধ। মাঝে দু’বার নবম থেকে দ্বাদশ শ্রেণি ও কলেজ-বিশ্ববিদ্যালয় খুললেও করোনার প্রকোপে ফের তা বন্ধ হয়ে যায়। চলতি বছর জানুয়ারিতে রাজ্য সরকার বিধিনিষেধ জারি করার সময় শিক্ষা প্রতিষ্ঠান বন্ধ রাখার কথা ঘোষণা করে। বিজেপি, সিপিএম সঙ্গে বিরোধী দলগুলি বারবার প্রশ্ন তুলেছে, জিম, রেস্তরাঁ, পাব, ট্রেন-বাস চালু থাকলেও কেন স্কুল বন্ধ রাখা হয়েছে?