কলকাতা: শুক্রবার তৃণমূল ভবনে বসে শাসকদলের নেতা কুণাল ঘোষের অভিযোগ, সন্দেশখালির ঘটনার পিছনে সিপিএম, কংগ্রেস, বিজেপির উস্কানি রয়েছে। এর কিছুক্ষণ পরই নবান্নে ডিআইজি (আইন-শৃঙ্খলা) মনোজ ভার্মা বললেন, কারা এই ঘটনার পিছনে, তা তদন্ত করে দেখা হচ্ছে। তিনি আরও বলেন, গত দুতিন দিন ধরে সন্দেশখালিতে কিছু ঘটনা ঘটেছে। যারা হিংসার ঘটনায় জড়িত, তাদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়া হবে। আজকের ঘটনায় আটজনকে গ্রেফতার করা হয়েছে।
এদিকে সন্ধ্যা পর্যন্ত মহিলারা সন্দেশখালি থানার সামনে বিক্ষোভ চালিয়ে যান। তাঁদের প্রায় সকলের হাতেই লাঠি, বাঁশ, গাছের ডাল। বিক্ষোভকারীদের একটাই দাবি, শেখ শাহজাহান, উত্তম সর্দার এবং শিবু হাজরাকে গ্রেফতার করা হবে। থানার সামনে পুলিশ বিশাল ব্যারিকেড করেছে। জেলার পদস্থ পুলিশ কর্তারা হাজির। জেলার অতিরিক্ত পুলিশ সুপারকে মাইকে বলতে শোনা যায়, আপনারা এভাবে লাঠিসোঁটা হাতে নিয়ে থানার সামনে বিক্ষোভ দেখাতে পারেন না। এটা বেআইনি। আমরা আপনাদের সরে যেতে অনুরোধ করছি। কারও বিরুদ্ধে অভিযোগ থাকলে আপনারা একে একে এসে অভিযোগ জানাতে পারেন। তার ভিত্তিতে পুলিশ ব্যবস্থা নেবে। তাঁর অনুরোধ, আইন নিজেদের হাতে তুলে নেবেন না। নবান্নে ডিআইজি-ও বলেন, আইন নিজেদের হাতে তুলে নিলে তা বরদাস্ত করা হবে না। কারও বিরুদ্ধে অভিযোগ থাকলে পুলিশকে জানান। পুলিশ তা নিয়ে তদন্ত করবে।
আরও পড়ুন: ফের ধাক্কা অভিষেকের, বিচারপতি গঙ্গোপাধ্য়ায়ের বিরুদ্ধে হস্তক্ষেপে না
বিক্ষোভকারী মহিলারা অবশ্য পুলিশের আশ্বাসকে গুরুত্ব দিতে নারাজ। অনেকে বলেন, পুলিশ এতদিন কিছু করেনি। অনেকবার তাদের জানানো হয়েছে। ওদের গ্রেফতার না করা পর্যন্ত অবস্থান চলবে। এক মহিলা বলেন, পুলিশ গুলি করে মারুক আমাদের। তবু আমরা উঠব না। সব মিলিয়ে শীতের সন্ধ্যাতেও টগবগ করে ফুটছে সন্দেশখালি।
দেখুন আরও অন্যান্য খবর: