বসিরহাট: খোদ প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির (PM Narendra Modi ) ফোন পেলেন বসিরহাট লোকসভা কেন্দ্রের বিজেপি প্রার্থী (Basirhat’s BJP candidate) রেখা পাত্র (BJP Candidate Rekha Patra)। মঙ্গলবার দুপুরে মোদি ফোন করেন রেখাকে। শুরুটা বাংলাতেই। সূচনাতে বিজেপি প্রার্থী রেখাকে শক্তিরূপা বলে সম্বোধন করেন প্রধানমন্ত্রী। ভোটের প্রস্তুতি কেমন চলছে, রেখার কাছে জানতে চান মোদি। রেখার প্রশংসা করে মোদি বলেন, আপনি রাজ্য সরকারের বিরুদ্ধে গিয়ে লড়াই করছেন। তিনি রেখাকে বলেন, আপনার সাহসিকতার তুলনা হয় না। বিজেপি সরকারের জনহিতকর অনেক প্রকল্প রয়েছে। বাংলার তৃণমূল সরকার সেই প্রকল্পগুলি চালু করতে দেয় না। সাধারণ মানুষ বঞ্চিত হচ্ছেন। নির্বাচনী প্রচারে নেমে মানুষের ঘরে ঘরে গিয়ে সাধারণ মানুষের মধ্যে এই কথা তুলে ধরার পরামর্শ দেন রেখাকে প্রধানমন্ত্রী।
এই রেখা পাত্রই সন্দেশখালির তৃণমূল কংগ্রেস নেতাদের বিরুদ্ধে শ্লীলতাহানি, যৌন হেনস্থার অভিযোগ তুলেছিলেন। তিনিই সন্দেশখালির (Sandeshkhali) প্রতিবাদী আন্দোলনের প্রধান মুখ। সেই রেখা পাত্রকেই শাসকদলের বিরুদ্ধে লড়াই করার জন্য মুখ করেছে বিজেপি। রবিবার তাঁর নাম ঘোষণা করা হয়। সোমবার অবশ্য সন্দেশখালির কয়েকটি গ্রামে রেখার প্রার্থীপদের বিরুদ্ধে রাস্তায় নামেন আন্দোলনকারী মহিলাদের একাংশ। তাঁদের হাতে রেখাকে প্রার্থী চাই না বলে পোস্টার দেখা যায়। যদিও ২৪ ঘণ্টা কাটতে না কাটতে ভোলবদল করেন সেই মহিলারা। বিক্ষুব্ধরা দাবি করেন, তাঁদের গোটা বিষয়টা নিয়ে ভুল বোঝানো হয়েছিল।
আরও পড়ুন: সন্দেশখালিতে উলটপুরাণ, রেখার পাশেই সোমবারের বিক্ষোভকারী মহিলারা
এই আবহেই মঙ্গলবার প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গে ফোনে প্রায় ১৫ মিনিট কথা হয় বসিরহাটের বিজেপি প্রার্থী রেখার। রেখার সাহসিকতার প্রশংসা করেন প্রধানমন্ত্রী। তিনি রেখার কাছে সন্দেশখালির সামগ্রিক পরিস্থিতি জানতে চান। প্রার্থী হওয়ার পর সেখানকার সাধারণ মানুষ কী বলছে, জানতে চান। রেখা প্রধানমন্ত্রীকে বলেন, সকলেই খুশি। বসিরহাটের মা-বোনেরা অত্যাচারিত হয়েছেন। আমাদের সঙ্গে যা হয়েছে (যারা অত্যাচার করেছে), তাদের জেল হয়েছে, ইডির হাতে চলে গিয়েছে। সমস্ত দোষীদের শাস্তি চাই। তিনি বলেন, ২০১১ সাল থেকে ভোট দিতে পারিনি। এবার ভোট দিতে পারলে খুশি হবেন সন্দেশখালির মা বোনরা। বিজেপি প্রার্থী প্রধানমন্ত্রীকে বলেন, আমার স্বামী চেন্নাইয়ে কাজ করেন। অনেক পরিশ্রম করে সংসার চালাই। এমন কিছু করে দেখাব, যাতে বাংলার বাইরে কাউকে যেতে না হয়। প্রধানমন্ত্রী বলেন, আপনি জয়ী হবেন। আপনার আত্মবিশ্বাস আপনাকে দিল্লিতে পৌঁছে দেবে।
প্রধানমন্ত্রী রেখাকে আশ্বস্ত করে বলেন, আমার বিশ্বাস আপনার কথা নির্বাচন কমিশনের কাছে পৌঁছবে। নির্বাচন কমিশন সুনিশ্চিত করবে যাতে সকলে ভোট দিতে পারেন। আশা করব, নির্বাচন কমিশন আপনার কষ্ট বুঝবেন। দু:খের কথা, আপনি দীর্ঘদিন ভোট দিতে পারেননি। বাংলায় কীভাবে সরকার চলছে, তা নির্বাচনের প্রচারে গিয়ে মানুষকে বোঝান। রেখা বলেন, আপনার আশীর্বাদের হাত আমার মাথায় রয়েছে। মোদি বলেন, বাংলার মা-বোনেদের আশীর্বাদ রয়েছে আমার মাথার উপরে।
অন্য খবর দেখুন