কলকাতা: নন্দীগ্রাম ভোট কারচুপি মামলায় বক্তব্য জানানোর জন্য বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারীকে চূড়ান্ত সময়সীমা বেধে দিল কলকাতা হাই কোর্ট। সোমবার বিচারপতি শম্পা সরকার নির্দেশ দিয়েছেন, মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় করা মামলায় তাদের কি বক্তব্য তা ২৯ নভেম্বরের মধ্যে আদালতকে জানাতে হবে।
লিখিত ভাবে এই হলফনামা আদালতে জমা দিতে হবে। নন্দীগ্রাম মামলার শুনানি সুপ্রিম কোর্টে চলায় হাই কোর্টে মামলা পিছোনোর জন্য আবেদন করেছিলেন শুভেন্দু। এই আবেদনের তীব্র বিরোধিতা করেন অ্যাডভোকেট জেনারেল। তাঁর দাবি, এই অতিরিক্ত আবেদনের কোনও যৌক্তিকতা নেই। আদালত শুভেন্দুর আবেদন খারিজ করে দিয়েছে। মূল মামলার পরবর্তী শুনানি ১ ডিসেম্বর।
আরও পড়ুন: আলাপন মামলা: হাইকোর্টের রায়কে চ্যালেঞ্জ জানিয়ে সুপ্রিম কোর্টে কেন্দ্র, পরবর্তী শুনানি ২২ নভেম্বর
মে মাসে ভোটের ফল ঘোষণার পর নন্দীগ্রামে ভোট গণনায় কারচুপি হয়েছে বলে অভিযোগ করেন মুখ্যমন্ত্রী তথা নন্দীগ্রাম কেন্দ্রের তৃণমূল প্রার্থী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়৷ এর পরই হাই কোর্টে মামলা দায়ের করেন মমতা৷ মামলায় নির্বাচন কমিশন ও শুভেন্দু অধিকারীকেও সংযুক্ত করা হয়। হাই কোর্টের ভারপ্রাপ্ত প্রধান বিচারপতি রাজেশ বিন্দোল মামলার শুনানির জন্য বিচারপতি কৌশিক চন্দর বেঞ্চকে বেছে নেন৷
বিচারপতি হিসাবে নিয়োগ হওয়ার আগে কৌশিক চন্দ বিজেপির লিগ্যাল সেলের সদস্য ছিলেন। তিনি বিজেপির হয়ে কলকাতা হাই কোর্টে আইনজীবী হিসাবে বহু মামলায় অংশ নিয়েছেন। তাই তাঁর এজলাসে এই মামলার শুনানির না হওয়ার জন্য আবেদন জানিয়েছিলেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের আইনজীবী অভিষেক মনু সিংভি।
আরও পড়ুন: নন্দীগ্রাম মামলা সুপ্রিমকোর্টে স্থানান্তরের আবেদন শুভেন্দুর
৭ জুলাই হাই কোর্টে বিচারপতি চন্দ মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের এজলাস-বদলের আবেদনের রায় ঘোষণা করে জানান, তিনি নন্দীগ্রাম মামলা থেকে সরে যাচ্ছেন৷ তাঁর এজলাসে এই মামলার শুনানি হবে না৷ ওই মামলা ফেরত পাঠানো হয় ভারপ্রাপ্ত প্রধান বিচারপতির কাছে৷ এর পরই মামলা স্থানান্তরিত করা হয় বিচারপতি শম্পা সরকারের এজলাসে।