ইলামবাজার: এবার ইলামবাজারে কলেজ পড়ুয়ার অপহরণ করে খুনের ঘটনায় চাঞ্চল্যকর দাবি নিহত সালাউদ্দিনের কাকা সৈয়দ আব্দুল মইনের। তাঁর দাবি, সুপারি কিলার দিয়ে খুন করা হয়েছে সালাউদ্দিনকে। সুপারি কিলার দিয়ে সলমন শেখ সালাউদ্দিনকে খুন করেছে বলে দাবি নিহতের কাকা আব্দুল মইনের। মইনের আরও দাবি, সালাউদ্দিন ও সলমনের আট থেকে দশ জনের বন্ধুদের টিম ছিল। কিন্তু সালাউদ্দিন ও সলমন মদ খাওয়া তো দূরের কথা কখনও পান, বিড়ি, সিগারেট খায় না। তাহলে ঘটনাস্থল থেকে কীভাবে মদের বোতল ও আরও সরঞ্জাম উদ্ধার হল? ইলামবাজারে কলেজ পড়ুয়াকে অপহরণ করে খুনের ঘটনায় ধৃত শেখ সালমানকে এদিন বোলপুর মহকুমা আদালতে পেশ করা হলে আদালত তাকে সাত দিনের পুলিশি হেফাজতের নির্দেশ দিয়েছে।
পাশাপাশি মইন আরও দাবি করেন, শনিবার বেলা ১২টা নাগাদ দুবরাজপুরের ইসলামপুরের কাছে সলমনকে তাঁর স্কুটিতে দুজনকে মুখ বাধা অবস্থায় দেখা গিয়েছে। স্থানীয় একজন এই অবস্থায় দেখে মইনকে ফোন করেন। সেখানই পরিষ্কার হয়ে যায় শুধুমাত্র শেখ সলমনের একা এই খুন করাতে পারে না। সালাউদ্দিনের খুনের ঘটনায় সুপারি কিলারের যোগ রয়েছে বলে দাবি কাকা সৈয়দ আব্দুল মইনের। ইতিমধ্যে এই ঘটনার মূল অভিযুক্ত শেখ সলমনকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ।
আরও পড়ুন: Birbhum Incident: ইঞ্জিনিয়ারিং ছাত্রকে অপহরণ করে খুনের ঘটনার পুনর্নির্মাণ, অপরাধ কবুল বন্ধুর
প্রসঙ্গত, শনিবার মধ্যরাত্রে বীরভূমের ইলামবাজার ব্লকের চৌপাহাড়ি জঙ্গলে দুই বন্ধু সলমন ও সালাউদ্দিন ইলামবাজার জঙ্গলে যান। সেখানেই সালাউদ্দিনকে প্রচুর পরিমাণে মদ খাইয়ে অজ্ঞান করে সলমন। এরপর সালাউদ্দিনের মোবাইল থেকে তাঁর বাবাকে ফোন করে ৩০ লক্ষ টাকা মুক্তিপণ চায়। মুক্তিপণ না দেওয়ায় সালাউদ্দিনের গলার নলি কেটে খুন করে সলমন। এদিন পুলিশের পুনর্নির্মাণ চলাকালীন স্বীকারোক্তি দেয় সলমন।