কলকাতা: বামফ্রন্ট (Left Front) শুক্রবার আরও দুটি আসনের প্রার্থীর নাম ঘোষণা করল। আরামবাগে সিপিএম প্রার্থী হচ্ছেন বিপ্লব মৈত্র। ঝাড়গ্রামের সিপিএম (CPIM) প্রার্থী সোনামণি টুডু। দুজনেই নতুন মুখ। এদিন সাংবাদিক বৈঠকে বামফ্রন্ট চেয়ারম্যান বিমান বসু (Biman Bose) বলেন, আমরা ভেবেছিলাম, আজ পূর্ণাঙ্গ তালিকা ঘোষণা করতে পারব। কিন্তু কিছু আলোচনা এখনও বাকি আছে। বিজেপি এবং তৃণমূল বিরোধী সব শক্তিকে নিয়ে আমরা বৃহত্তর মঞ্চ গড়তে চাই। তার জন্য কংগ্রেস, আইএসএফ-সহ বিভিন্ন সংগঠনের সঙ্গে কথা হচ্ছে। আদিবাসী, তফসিলি জাতি, উপজাতিদের নানা গোষ্ঠী রয়েছে। সবাই হয়ত ভোটে লড়বে না। আমরা সকলের সঙ্গে আলোচনা করে বিষয়টিকে এগিয়ে নিয়ে যেতে চাই। তাই সময় লাগছে। ভোট কয়েক দফায় হবে। হাতে এখনও সময় আছে। বিমান বলেন, আমরা আশা করছি, রবিবারের মধ্যে একটা জায়গায় পৌঁছতে পারব।
আরও পড়ুন: কারার ওই লৌহকপাট, ভেঙে ফেল কর রে লোপাট (পর্ব ৩২)
এদিকে বামফ্রন্টের শরিকদের মধ্যেও চলছে নানা টানাপড়েন। কংগ্রেসকে (Congress) জায়গা করে দিতে সিপিএম চাইছে, আরএসপি, সিপিআই এবং ফরওয়ার্ড ব্লক তাদের ভাগ থেকে একটি করে আসন ছেড়ে দিক বৃহত্তর স্বার্থের দিকে তাকিয়ে। ফ্রন্টের অন্দরের খবর, সিপিআই বসিরহাট আসনটি ছেড়ে দিতে রাজি হয়েছে। কিন্তু আরএসপি জয়নগর এবং ফব কোচবিহার কিংবা পুরুলিয়া ছাড়তে নারাজ। এদিন ফ্রন্টের বৈঠকে কোনও সমাধান সূত্র খুঁজে বার করা যায়নি। আরএসপি, ফব তাদের ওই দুই আসন ছাড়তে কিছুতেই রাজি নয়। দুই দলের শীর্ষ নেতারা বলছেন, আমরা তিনটে করে আসনে লড়ছি। তার মধ্যে একটি করে আসন ছাড়া অসম্ভব। তাতে যা হওয়ার হবে।
আরও পড়ুন: কিউআর কোড দিয়ে আবেদন কংগ্রেস প্রার্থী ভিক্টরের
সিপিএমের বক্তব্য, ওই দুই দলের জেদাজেদিতে বামফ্রন্ট ভেঙে গেলে দায় তাদের থাকবে। আবার সব শরিকই বলছে, বামফ্রন্টকে অটুট রাখতেই হবে। অনেক রক্ত, ঘামের বিনিময়ে ১৯৭৭ সালে বামফ্রন্ট গড়ে উঠেছিল।
সব মিলিয়ে পরিস্থিতি জটিল, এটা বলা যেতেই পারে। বিমান বলেন, এবারের রাজনৈতিক পরিস্থিতি ভিন্ন। একটা নতুন অবস্থার মধ্যে দিয়ে আমাদের যেতে হচ্ছে। তাই সময় লাগছে।
আরও খবর দেখুন