জলপাইগুড়ি : অমরনাথে মেঘভাঙা বৃষ্টির দুর্যোগের কারণে মাঝপথে আটকে পড়েছেন অনেকেই। সেই প্রিয়জনদের দুশ্চিন্তায় দিন কাটছে জলপাইগুড়ি শহরেরও বেশকিছু পরিবারের। জলপাইগুড়ির মাসকলাইবাড়ি সংলগ্ন এলাকায় কয়েকটি পরিবারের প্রিয়জনেরা অমরনাথ যাত্রায় গিয়েছেন। তাঁদের মধ্যে রয়েছেন ২৩ নম্বর ওয়ার্ডের বাসিন্দা ব্যবসায়ী কাজল ধর(৪৩)। তাঁর স্ত্রী সোমা ধর জানান, ৬ জুলাই তাঁর স্বামী অমরনাথের উদ্দেশ্যে গিয়েছেন। যাত্রাপথে দুর্যোগ পরিস্থিতির কথা জানার পর থেকেই চিন্তায় রয়েছেন তাঁরা। তবে ফোনে স্বামীর সঙ্গে যোগাযোগ রয়েছে।
ফোনে কাজল ধর জানান, যে তিনি এক নন। তাঁরা মোট ১৭ জন অমরনাথে গিয়েছিলেন। এরমধ্যে তিনজন শিলিগুড়ি ও ১৪ জন জলপাইগুড়ি শহরের বাসিন্দা। তাঁরা জম্মুতে সেনা ক্যাম্পে নিরাপদে রয়েছেন। এখনও তাঁদের যাত্রা শুরু হয়নি। কবে হবে, তাও অনিশ্চিত। কাজলবাবুর সফর সঙ্গী অরবিন্দ নগরের বাসিন্দা সুজিত চক্রবর্তীর স্ত্রী মধুশ্রী চক্রবর্তীও চিন্তায় রয়েছে। তবে ফোনে এদিনও সুজিতের সঙ্গে তাঁর কথা হয়েছে। নিরাপদে আছেন বলে কিছুটা হলেও স্বস্তি পরিবারের।
আরও পড়ুন: Mamata Banerjee: সোমবার চারদিনের পাহাড় সফরে মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়
অরবিন্দনগরের আর এক বাসিন্দা সুমন্ত অধিকারীও তাঁদের সঙ্গে অমরনাথ যাত্রায় গিয়েছেন। সুমন্তবাবুর স্ত্রী নিবেদিতা অধিকারী জানান, সুমন্তর মা, পরিবারের সদস্য থেকে শুরু করে প্রতিবেশী সকলেই যথেষ্ট উদ্বিগ্ন।
ইতিমধ্যে অমরনাথে আটকে থাকা পুণ্যার্থীদের জন্য শনিবারই হেল্পলাইন চালু করেছে রাজ্য প্রশাসন। তীর্থযাত্রীদের উদ্ধারের জন্য জম্মু ও কাশ্মীর সরকারের সঙ্গেও যোগাযোগ করা হয়েছে নবান্নের তরফে। নবান্ন সূত্রে খবর, কন্ট্রোল রুমে যারা ফোন করেছেন, তাঁদের দেওয়া তথ্যের ভিত্তিতেই বাংলার ৭২ জনের আটকে থাকার খবর মিলেছে। অমরনাথে আটকে থাকা রাজ্যের বাসিন্দাদের পরিবারের সঙ্গেও যোগাযোগ রাখছে সংশ্লিষ্ট জেলা প্রশাসন।
আরও পড়ুন:Draupadi Murmu: সোমবার শহরে এনডিএ রাষ্ট্রপতি পদপ্রার্থী দ্রৌপদী মুর্মু