ডায়মন্ড হারবার: করোনার কারণে জেরবার সমগ্র বিশ্ব। ২০২১ সালে ওই ভাইরাসের দ্বিতীয় ঢেউয়ের কারণে বেসামাল হয়ে পরে ভারত। এরই মাঝে টিকাকরণ শুরু হয়। টিকার আকাল দেখা যাওয়া নিয়েও বিতর্ক শুরু হয়েছে। এই অবস্থায় টিকাকরণে নজির গড়ল পশ্চিমবঙ্গের দক্ষিণ ২৪ পরগণা জেলার ডায়মন্ড হারবার।
আরও পড়ুন- বিধায়ককে জুতো পরিয়ে দিচ্ছেন দেহরক্ষী, ভাইরাল ভিডিও
কেন্দ্রের পক্ষ থেকে রাজ্যে অনেক কম টিকা পাঠানো হয়েছে। দাবি অনুযায়ী দেওয়া তো দূরের কথা, প্রয়োজনের থেকেও অনেক কম টিকা এসেছে বাংলায়। অন্যদিকে বিজেপি শাসিত উত্তরপ্রদেশে অনেক বেশি সংখ্যায় টিকা পাঠিয়েছে কেন্দ্র। যা নিয়ে উষ্মা প্রকাশ করে মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় বলেছিলেন, “কেউ বেশি পেলে আমাদের আপত্তি নেই। কিন্তু আমাদেরকে যেন বঞ্চিত না করা হয়।”
আরও পড়ুন- রাজ্যে ভ্যাকসিনের আকাল, ক্ষোভ জানিয়ে প্রধানমন্ত্রীকে চিঠি মমতার
সেই নিয়ে বিতর্কের মাঝেই একটু অন্যরকম ছবি দেখা গেল ডায়মন্ড হারবারে। দক্ষিণ ২৪ পরগণার ওই পুরসভা এলাকার ১০০ মানুষের শরীরে প্রয়োগ করা হয়েছে করোনার টিকা। পুরসভার পক্ষ থেকে জানানো হয়েছে যে এলাকার সকল মানুষকে টিকাকরণের আওতায় নিয়ে আসা হয়েছে। করোনা টিকার প্রথম ডোজ দেওয়া হয়েছে সকলের শরীরে। দ্বিতীয় ডোজ পেয়েছেন ৯০ শতাংশের বেশি মানুষ। সেই সংখ্যা ৯৬ শতাংশের বেশি বলে দাবি করেছন অনেকে।
আরও পড়ুন- নন্দীগ্রামে বিজেপি ছেড়ে তৃণমূলে শতাধিক নেতা-কর্মী
টিকাকরণের এই রেকর্ড রাজ্যের আর কোথাও নেই। বাংলা তথা ভারতের মাটিতে ১০০ শতাংশ টিকাকরণ করে নজির গড়েছে ডায়মন্ড হারবার পুরসভা। এই সাফল্যের পিছনে মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় এবং সাংসদ অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়ের বড় অবদান রয়েছে বলে দাবি করেছেন স্থানীয় তৃণমূল নেতৃত্ব। তাঁদের নির্দেশেই সমগ্র কাজ সম্পন্ন হয়েছে বলেও দাবি করা হচ্ছে।
কোন উপায়ে হল এই বিপুল মানুষের টিকাকরণ? এই বিষয়ে পুরসভার পক্ষ থেকে জানানো হয়েছে যে ‘দুয়ারে আমরা’ নামক একটি প্রকল্প নেওয়া হয়। যার মাধ্যমে মানুষের বাড়িতে গিয়ে ভ্যাকসিন দেওয়ার ব্যবস্থা করা হয়। ভ্যাকসিন দেওয়ার আগে ‘দুয়ারে আমরা’ প্রকল্পের মাধ্যমে এলাকার জনসাধারণের বিষয়ে তথ্য নেওয়ায় হয়েছিল। তারপরে গাড়িতে এলাকায় গিয়ে গিয়ে স্বাস্থ্যকর্মীরা টিকা দেওয়ার ব্যবস্থা করে। সেই সঙ্গে টিকাকরণ শিবির করেও মানুষকে টিকা দেওয়া হয়েছিল।
আরও পড়ুন- মধ্যপ্রদেশে ৭০ লক্ষ কালো টাকাসহ গ্রেফতার ৭ গুজরাটি
পুরসভার আধিকারিকেরা এবং সকল জনপ্রতিনিধি এই কাজে বিশেষ গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করেছেন। এদের সঙ্গে দোসর ছিলেন অঙ্গনওয়াড়ি এবং আশাকর্মীরা। সকলের মিলিত প্রয়াসেই এক বড় কীর্তি সম্পন্ন করে ফেলেছে ডায়মন্ড হারবার পুরসভা। যা কার্যত নজিরবিহীন।