বাঁশগড়: আপনি থ্রি ইডিয়টস দেখেছেন? যেখানে বিদ্যুৎ পরিষেবা না থাকায় প্রোজেক্টে বানানো ইনভার্টারে হয়েছিল ডেলিভারি। এবার সেই চিত্রই বাস্তবে দেখা গেল পুরুলিয়ায়। মানবাজার গ্রামীণ হাসপাতালের পর বলরামপুর ব্লকের বাঁশগড় কমিউনিটি হেলথ সেন্টারের অবস্থা আরও বেহাল। দিনের একটা বড়ো সময় ধরে থাকছে না বিদ্যুৎ পরিষেবা। রাত হলেই অন্ধকার নেমে আসছে গোটা হাসপাতাল জুড়ে। মোবাইলের ফ্ল্যাশ লাইট জ্বালিয়ে করা হচ্ছে প্রসূতি মায়েদের ডেলিভারি। গরমে নাজেহাল অবস্থা রোগীদের। নোংরা, আবর্জনা, অপরিষ্কার এখানকার যেন নিত্য দিনের সঙ্গী হয়ে দাঁড়িয়েছে। এই সমস্যার কথা জানতে পেরে সোমবার হাসপাতালে পরিদর্শনে আসেন বলরামপুর বিধানসভার বিধায়ক বানেশ্বর মাহাত। হাসপাতালের করুণ অবস্থা দেখে মুখ্যমন্ত্রীকে দ্রুত ব্যবস্থা নেওয়ার আবেদন জানান তিনি। একইসঙ্গে হাসপাতালের এই অবস্থা দেখে জেলার মুখ্য স্বাস্থ্য আধিকারিককেও ফোন করে অভিযোগ জানান।
রবিবার বেশ কয়েক ঘণ্টা বন্ধ ছিল বিদ্যুৎ পরিষেবা। মেরামতের কারণে বিদ্যুৎ পরিষেবা বন্ধ থাকায় চরম ভোগান্তিতে পড়তে হয় হাসপাতালে কর্তৃপক্ষ সহ রোগীদের। ওই স্বাস্থ্য কেন্দ্রে জেনারেটর ব্যবস্থা থাকলেও তা ঠিকাপ্রাপ্ত সংস্থাকে টাকা না দেওয়ায় পরিষেবা বন্ধ করে দিয়েছে বলে জানা গিয়েছে। কিছু কিছু রোগীর পরিবারের লোকজন দাবি, বিদ্যুৎ বিচ্ছিন্ন থাকায় প্রসূতি মায়ের ডেলিভারি মোবাইলের ফ্ল্যাশ লাইট জ্বালিয়ে করা হচ্ছে। শুধু তাই নয় দীর্ঘ সময় ধরে হাসপাতালে শৌচালয় অপরিষ্কার ও হাসপাতাল চত্বরে বিষাক্ত আগাছায় ভরা সহ হাসপাতালের পরিকাঠামো নিয়ে অভিযোগ উঠেছে।
আরও পড়ুন: পরিবহণ ধর্মঘটে স্তব্ধ বেঙ্গালুরু, ভোট প্রতিশ্রুতির মাশুল গুনছে কংগ্রেস
জেলা মুখ্য স্বাস্থ্য আধিকারিক জানান, জেনারেটরের তেলের টাকা ট্রেজারি থেকে না আসায় এই সমস্যা হয়েছে। বাঁশগড় কমিউনিটি হেলথ সেন্টারে জেনারেটর অপারেটর মারা যাওয়ায় আরও বেশি সমস্যা দেখা দিচ্ছে। গতকালই জরুরি ভিত্তিতে জেনারেটর নিয়ে আসা হয়েছে। বিএমওএইচের সঙ্গে কথা বলে বাকি সমস্যা সমাধান করা হবে বলে আশ্বাস দেন তিনি।