হাওড়া: পেশি শক্তির সাহায্যে গণতন্ত্রের লুট চলতে পারে না। ২০২৩ পঞ্চায়েত নির্বাচনে (Panchayat Vote) ব্যালট কেড়ে নেওয়ার অভিযোগে ভোট বাতিল করে অভিমত কলকাতা হাইকোর্টের (Calcutta High Court)।
সাঁকরাইলে ভোট গণনার সময় রাজ্যের শাসকদলের দুষ্কৃতী দ্বারা গণপ্রহার, হিংসা এবং ব্যালট লুট করার অভিযোগে ভোট বাতিল করল আদালত। বিজয়ী প্রার্থীর নির্বাচনী শংসাপত্র খারিজ করলেন বিচারপতি অমৃতা সিনহা। ওই পদটি শূন্য ধরে নিয়ে নতুন করে নির্বাচনের নির্দেশ।
আরও পড়ুন: প্রাইভেট টিউশন পড়াতে পারবেন না স্কুল শিক্ষকরা, চিঠি ডিআই অফিস থেকে
নির্বাচন কমিশনের নাকের ডগায় বসে দুষ্কৃতী দ্বারা গণতন্ত্রের বিনাশ চলতে পারে না। কমিশনকে কঠোর পদক্ষেপ গ্রহণ করে গণতন্ত্রের মুখ্য উদ্দেশ্য এবং মূল্য বজায় রাখতেই হবে। অন্যায়ের অভিযোগ যখন কমিশন পাচ্ছে, তখন তাকে দ্রুত পদক্ষেপ করতে হবে। যাতে বিচারের বাণী বিনষ্ট না হয়। গণতন্ত্র এমন কোনও খেলনা নয়, যা কেড়ে নেওয়া যায় বা পেশি শক্তির সাহায্যে লুট করে নেওয়া যায়। সাধারণ মানুষের জন্য গণতন্ত্র অত্যন্ত শক্তিশালী একটি ব্যবস্থা। কারণ এই জনগণের হাত ধরেই, তাঁদের মতামতের ভিত্তিতেই দেশ চলে। যখনই তার বিরোধী কোনো প্রক্রিয়ার খবর আসবে, তখনই লৌহ কঠিন হাতে অবিলম্বে তাকে ধ্বংস করতে হবে। অভিমত আদালতের।
২০২৩ পঞ্চায়েত নির্বাচনে মামলাকারী ছিলেন প্রতিদ্বন্দ্বী। ভোট গণনার সময় মারধর, ব্যালট কেড়ে নেওয়ার অভিযোগ তিনি আনেন। আদালত নির্বাচন কমিশনকে অভিযোগের তদন্ত করতে বলে। তদন্ত সাপেক্ষে অভিযোগ স্বীকার কমিশনের। প্রথম ও দ্বিতীয় স্থানাধিকারীর মধ্যে প্রাপ্ত ভোটের সংখ্যার ফারাক হারিয়ে যাওয়া ব্যালটের তুলনায় কম ছিল। সেই কারণেই বিডিও এবং রিটার্নিং অফিসার বিজয়ীর সার্টিফিকেট বাতিল করার সুপারিশ করেন। কিন্তু গণনা সন্তোষজনক হয়েছে অভিমত দিয়ে কমিশন সার্টিফিকেট বহাল রাখে।
আরও খবর দেখুন