কলকাতা: জিও ট্যাগিংয়ে দেশের মধ্যে প্রথম হয়েছে বাংলার বাড়ি প্রকল্প। কেন্দ্রীয় নগর উন্নয়ন মন্ত্রক থেকে বুধবার রাজ্য সরকারকে এ বিষয়ে জানানো হয়েছে। সেই বিষয়ে উচ্ছ্বাস প্রকাশ করে রাজ্যের তপশিলি ও আদিবাসীদের উন্নয়নে ৬ গুণ বরাদ্দ বাড়ানো হয়েছে বলে জানালেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়৷ তিনি বলেন, ‘ তপশিলি-আদিবাসীদের জন্য গত দশ বছরে আমাদের সরকার যা করেছে তা দেশের অন্য কোনও সরকার করেনি৷’
তপশিলি-আদিবাসীদের উন্নয়নে বরাদ্দ বাড়ানো ছাড়াও একাধিক উন্নয়ন মূলক প্রকল্পে গত দশ বছরে রাজ্য সরকার কী করেছে তা সংক্ষিপ্ত আকারে তুলে ধরেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়৷ তিনি বলেন, পশ্চিমবঙ্গ একমাত্র রাজ্য যেখানে আদিবাসীদের উন্নয়নে ওয়েস্ট বেঙ্গল সিডিউল কাস্ট অ্যাডভাইসরি কমিটি গঠন করা হয়েছে৷ তিনি বলেন, চাকরিক্ষেত্রে তপশিলি জন্য সংরক্ষণ বাড়ানো হয়েছে। এখন থেকে পিছিয়ে পড়া সম্প্রদায়ের জন্য ২২ শতাংশ সংরক্ষিত করা হয়েছে।
আরও পড়ুন-মুখ্যমন্ত্রীর হস্তক্ষেপে কাটল চুক্তি জট, আইএসএলে খেলছে ইস্টবেঙ্গল
রাজ্য সরকারের লক্ষীর ভাণ্ডার প্রকল্পের সুবিধা তপশিলি জাতি ও উপজাতির মানুষেরা পাবেন বলে মুখ্যমন্ত্রী জানিয়েছেন। তিনি আরও বলেন, রাজ্য সরকার ৭৩ লক্ষ তপশিলি পড়ুয়াকে বৃত্তি দিচ্ছে। ৬ লক্ষ ২০ হাজার পড়ুয়াকে প্রশিক্ষণ দেওয়ার উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে। আগামী পাঁচ বছরে আদিবাসী-তপশিলি সম্প্রদায়ের জন্য কুড়ি লক্ষ পাকা বাড়ি তৈরির লক্ষ্যমাত্রা নেওয়া হয়েছে। ৪০ হাজার তপশিলি ব্যক্তি পেনশন পাচ্ছেন। বাবাসাহেব আম্বেদকরের নামে রাজ্যের প্রযুক্তি শিক্ষা প্রতিষ্ঠান তৈরি করা হয়েছে। মুখ্যমন্ত্রী আরও জানান, গত ১০ বছরের রাজ্য সরকার মোট ১৭ লক্ষ ৩৫ হাজারের বেশি কাস্ট সার্টিফিকেট বিলি করেছে। কাস্ট সার্টিফিকেট দেওয়ার প্রক্রিয়াকে আরও সহজ করা হচ্ছে বলে তিনি জানান।
আরও পড়ুন- মুজফফরনগর দাঙ্গা: কোনও কারণ ছাড়াই ৭৭ মামলা তুলে নিল যোগী সরকার
মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় আরও জানান, আদিবাসী সংখ্যালঘুদের জন্য তাঁর সরকার যা করছে তা কেউ করতে পারেনি। তারা বিনামূল্যে চিকিৎসা পাচ্ছেন। পড়াশোনা, ঘরবাড়ি তৈরির টাকা, সাইকেল স্মার্টফোন এমনকি বিয়ের খরচ নিয়েও আর চিন্তা থাকছে না তাঁদের। মুখ্যমন্ত্রী আরও বলেন, রাজ্যে তপশিলি বোর্ড তৃণমূল সরকারই প্রথম তৈরি করেছে। সবুজ সাথী প্রকল্পে এক কোটিরও বেশি ছাত্রছাত্রীকে সাইকেল দেওয়া হয়েছে। ৬ লক্ষের বেশি মানুষকে তফসিলি স্কিল ট্রেনিং দেওয়া হচ্ছে। ৬০টি নতুন জাতিভুক্ত হয়েছে। মোট দু হাজার ১৭২ কোটি টাকার আর্থিক বাজেট বরাদ্দ করা হয়েছে। পাশাপাশি রাজ্যে চালু করা হয়েছে তপশিলি বন্ধু প্রকল্প। এখনও পর্যন্ত ১৭ লক্ষ ৩৫ হাজার জাতিগত শংসাপত্র দেওয়া হয়েছে। ৮১ লক্ষ ছাত্রছাত্রী শিক্ষাশ্রী প্রকল্পের সুবিধা পাচ্ছেন। ৮০ হাজার পড়ুয়া হোস্টেলের সুবিধা নিচ্ছেন বলেও এদিন জানান মুখ্যমন্ত্রী।