কলকাতা: শেখ শাহজাহানের (Sheikh Shahjahan ) বিরুদ্ধে অভিযোগের তালিকায় খুনের চেষ্টার ধারা যুক্ত করল সিবিআই। ভারতীয় দণ্ডবিধির ৩০৭ ধারা যুক্ত করল কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থা। শুক্রবার শেখ শাহজাহানের (Sheikh Shahjahan) বাড়িতে তালা ভেঙে ঢোকে সিবিআই (CBI)। সকালে সন্দেশখালিতে যায় সিবিআইয়ের দুই আধিকারিক সহ ফরেন্সিক দল। ছিল বিশাল কেন্দ্রীয় বাহিনীও। শাহজাহানের বাড়িতে তদন্তকারীরা তল্লাশি চালান।
বগটুই মডেলে সন্দেশখালি কাণ্ডের তদন্তে থ্রিডি লেজার স্ক্যানিং প্রযুক্তি ব্যবহার করল কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থা। এই শাহজাহানের বাড়ি থেকে বেশকিছু নথিও উদ্ধার করে তদন্তকারী সংস্থা। ৫ জানুয়ারি ইডির আধিকারিকদের উপর হামলার অভিযোগ উঠেছে সন্দেশখালির ‘বাঘ’ শাহজাহানের বিরুদ্ধে। কিন্তু সিবিআইয়ের দায়ের করা এফআইআরে খুনের চেষ্টার ধারা যুক্ত ছিল না। শুধু এফআইআরে মূল অভিযুক্ত হিসাবে শাহজাহানের নাম ছিল। এ বার সিবিআইও শাহজাহানের বিরুদ্ধে খুনের চেষ্টার ধারা যুক্ত করল। ইতিমধ্যে শাহজাহানের বাড়ি, বাজার, অফিস, ঘনিষ্ঠদের বাড়িতে ঘুরছে সিবিআই। প্রশ্ন হচ্ছে ইডির উপর হামলার ২ মাস পর তদন্তে নেমে আদৌ কি কোনও নমুনা-তথ্য পাওয়া যাবে?
আরও পড়ুন: প্রথম দফার প্রার্থী তালিকা প্রকাশ কংগ্রেসের, কোথা থেকে লড়বেন রাহুল?
এদিন সরবেড়িয়া থেকে সিবিআই এক গ্রামবাসীকে আটক করে। দুপুরে দিন আলি গাজি নামে শাহজাহান ঘনিষ্ঠ একজনের বাড়িতে যায় সিবিআইয়ের একটি দল। সূত্রের খবর, ইডিকে ভয় পেয়েই তিনি গা ঢাকা দিয়েছিলেন। সিবিআইয়ের জেরায় এমনটাই জানিয়েছেন সন্দেশখালির ‘বাঘ’ শাহজাহান। সিবিআইয়ের জিজ্ঞাসাবাদে শাহজাহান জানান, সরবেড়িয়ার বাড়িতে থাকলে তিনি প্রতিদিনই প্রাতর্ভ্রমণে বের হন। সেইমতো তিনি ৫ জানুয়ারিও প্রাতর্ভ্রমণে বেরিয়েছিলেন। কিন্তু বাড়িতে ইডি এসেছে শুনে এবং ইডির ফোন পেয়ে তিনি ভয় পেয়ে যান। ইডির হাতে গ্রেফতার হতে পারেন, এই ভয়েই তিনি আর বাড়িতে ফেরেননি।
অন্য খবর দেখুন