তুফানগঞ্জ: এক সক্রিয় বিজেপি কর্মীর অস্বাভাবিক মৃত্যু ঘিরে উত্তেজনা তুফানগঞ্জে। বিজেপি কর্মী রাখাল দাস এবং তাঁর স্ত্রী রূপা দাস দীর্ঘদিন ভোট পরবর্তী হিংসার কারণে বাড়িছাড়া ছিলেন। সম্প্রতি তাঁরা বাড়ি ফেরেন। বিজেপির অভিযোগ, বাড়ি ফিরে আসার পর রামপুর ২ নম্বর অঞ্চল তৃণমূল সভাপতি মংলু বর্মণ এবং তাঁর দলবল অকথ্য ভাষায় দাস দম্পতিকে গালিগালাজ করে এবং হুমকি দেয়। পরে রূপা মংলুর বাড়ির সামনে বিষ খেয়ে আত্মহত্যার চেষ্টা করেন। তাঁকে তুফানগঞ্জ হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। সোমবার বেশি রাতে সেখানেই তিনি মারা যান।
মঙ্গলবার ময়না তদন্তের পর রূপার মরদেহ নিয়ে মিছিল করে বিজেপি। তুফানগঞ্জের এসডিও অফিসের সামনে দেহ রেখে বিক্ষোভ দেখায় বিজেপি। গোলমালের আশঙ্কায় বিশাল পুলিশ বাহিনী মোতায়েন করা হয় এসডিও অফিসে।
বিজেপির জেলা সম্পাদক উতপল দাস বলেন, দাস দম্পতি আমাদের সক্রিয় কর্মী। ভোট পরবর্তী হিংসার কারণে তাঁরা দীর্ঘদিন ঘরছাড়া ছিলেন। বাড়ি ফেরার পর মংলু বাহিনী তাঁদের নানা হুমকি দিচ্ছিল। বক্সিগঞ্জ থানার ওসিকে বারবার জানানো সত্ত্বেও কোনও ব্যবস্থা নেওয়া হয়নি। রূপা মানসিকভাবে ভেঙে পড়েছিলেন। তিনি মংলুর বাড়ির সামনে বিষ খান। তাঁকে হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। সোমবার রাতে তিনি মারা যান। মংলুকে গ্রেফতার না করা পর্যন্ত বিজেপি আন্দোলন চালিয়ে যাবে। বিজেপি ওসির বদলি দাবি করেছে।
সোমবার কোচবিহারে আসেন বিজেপির রাজ্য সভাপতি সুকান্ত মজুমদার। তিনি তুফানগঞ্জে দলের একটি মিছিলেও অংশ নেন। পরে সুকান্ত তুফানগঞ্জ হাসপাতালে যান অসুস্থ রূপাকে দেখতে।