কলকাতা: বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারীকে (Suvendu Adhikari) সন্দেশখালি (Sandeshkhali) যাওয়ার পথে বৃহস্পতিবারও পদে পদে বাধা দিল পুলিশ। ১৪৪ ধারা থাকায় শুভেন্দু দলের আরও তিন বিধায়ককে নিয়ে বাসে সন্দেশখালি রওনা দেন বিধানসভা থেকে। সায়েন্স সিটির সামনে পুলিশ তাঁদের বাস আটকায়। অফিসাররা বাসে উঠে দেখতে চান, শুভেন্দু এক এক করে গুণে দেখান, তাঁর সঙ্গে আরও তিন বিধায়ক রয়েছেন। পরে অবশ্য পুলিশ তাঁদের ছেড়ে দেয়। শুভেন্দুর সঙ্গে আছেন শঙ্কর ঘোষ, তাপসী মণ্ডল এবং চন্দনা বাউরি।
শুভেন্দু বলেন, এরপরও আটকালে আমরা আবার আদালতে যাব। বিরোধী নেতাকে আটকাতে সন্দেশখালিমুখী রাস্তায় বিভিন্ন জায়গায় বাঁশের ব্যারিকেড করা হয়। বসিরহাট পুলিশ জেলার সুপার সুমিত কুমার বলেন, আমরা বিরোধী নেতাকে সন্দেশখালিতে না যাওয়ার জন্য অনুরোধ করব। তিনি জোর করলে অবস্থা বুঝে ব্যবস্থা নেব। শুভেন্দু বলেন, সুমিত কুমারকে আমি চিনি। তিনি রাজ্য সরকারের শীর্ষ কর্তাদের অনুগত। সরকারের পা চাটা আইপিএস অফিসারদের দিয়ে আজও আমাকে আটকানোর চেষ্টা করছে মমতার পুলিশ।
আরও পড়ুন: সন্দেশখালি নিয়ে দুটি তদন্ত কমিটি গড়ল তৃণমূল
এদিকে শুভেন্দুর সন্দেশখালি যাওয়া নিয়ে কটাক্ষ করে তৃণমূল। রাজ্যপালের সঙ্গে দেখা করার পর সাংবাদিকদের সামনে তৃণমূলের রাজ্য মুখপাত্র কুণাল ঘোষ (Kunal Ghosh) বলেন, দিল্লিতে কৃষক আন্দোলন আটকাতে দিল্লি পুলিশ রাস্তায় পেরেক পুঁতেছে, লোহা, সিমেন্টের পাকা ব্যারিকেড করেছে, ড্রোন দিয়ে কাঁদানে গ্যাস চালাচ্ছে। শুভেন্দু তার প্রতিবাদ করছেন না কেন। তিনি বলেন, সবটাই নাটক। আসলে শুভেন্দুর সঙ্গে সুকান্তের প্রতিযোগিতা চলছে। গতকাল সুকান্ত একটা গাড়ির বনেটে উঠেছিলেন। আজ শুভেন্দ চাইছেন দোতলা বাসের উপর উঠে নাটক করতে। সুকান্তকে যে হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে, শুভেন্দু চান তার থেকেও বড় হাসপাতালে ভর্তি হতে। তৃণমূল নেতার দাবি, সন্দেশখালি এখন একদম শান্ত। সেখানে উত্তেজনা ছড়াতে চেষ্টা করছে বিজেপি।
অন্য খবর দেখুন