বীরভূম: তুমি সর্বভারতীয় নেতা কোনদিনই ছিলে না, আজও নও, কালও থাকবে না। সোমবার বিজেপির সর্বভারতীয় সম্পাদক অনুপম হাজরার (Anup Hazra) সঙ্গে অনুব্রত মণ্ডলের (Anubrata Mandal) ছবি দিয়ে বিস্ফোরক ফেসবুক পোস্ট বীরভূম বিজেপির যুব মোর্চার সহ-সভাপতি সুশোভন চন্দ্রের। বীরভূম জেলার বিজেপির সভাপতি ধ্রুব সাহা এবং দুবরাজপুরের বিজেপি বিধায়ক অনুপ সাহার খুব কাছের লোক বীরভূম যুব মোর্চার সহ-সভাপতি। দেখে বেশ ভালো লাগলো। জয় টুলু মন্ডলের জয়। পাল্টা খোঁচা দিয়ে ফেসবুক পোস্ট বিজেপির সর্বভারতীয় সম্পাদক অনুপম হাজরার।
লোকসভা নির্বাচনের (Loksabha Election) আগে বীরভূমে (Birbhum) বিজেপির (BJP) সংগঠন মজবুত করতে দিল্লি ছেড়ে আদা জল খেয়ে নিজের জেলায় পড়ে রয়েছেন বিজেপির কেন্দ্রীয় নেতা অনুপম। জেলার বিভিন্ন প্রান্তে জনসভা করছেন তিনি। রবিবার বীরভূমের ইলামবাজার ব্লকের জয়দেবে দলীয় একটি জনসভায় বক্তব্য রাখতে গিয়ে অনুপম বলেন, যে সমস্ত তৃণমূল নেতা সম্পত্তি বৃদ্ধি করেছেন রাতারাতি, কেন্দ্রীয় এজেন্সির হাত থেকে বাঁচতে আমার সঙ্গে যোগাযোগ করুন। বিজেপিতে স্বাগত জানাব আপনাদের।
কেন্দ্রীয় বিজেপি নেতা অনুপম হাজরার এই বক্তব্য দল বিরোধী। বিজেপি দল এই নীতি আদর্শে বিশ্বাস করে না। আপনি কেন্দ্রীয় বিজেপি নেতা নন, কোনদিন ছিলেন না, আগামী দিনেও থাকবেন না। অনুব্রত ও অনুপমের ছবি দিয়ে এদিন সোশ্যাল মিডিয়ায় বিস্ফোরক পোস্ট করেন বীরভূম বিজেপির যুব মোর্চার সহ-সভাপতি সুশোভন চন্দ্র।
পাল্টা খোঁচা দিয়ে জবাব দিলেন অনুপমও। এদিন বিজেপি বীরভূম জেলা সভাপতি ধ্রুব সাহা ও দুবরাজপুরের বিজেপি বিধায়ক অনুপ সাহা সুশোভন চন্দ্র খুব কাছের। জয় টুলু মণ্ডলের জয়। অনুপম ও নিজের ফেসবুকে এ ধরনের পোস্ট করেন। কিন্তু অনুপম হঠাৎ তাঁর ফেসবুক টাইমলাইনে জয় টূলু মণ্ডলের জয় কেন লিখলেন, তার নিয়ে শুরু হয়েছে জোর জল্পনা।
কে এই টুলু মণ্ডল? জানা গিয়েছে, টুলু একজন প্রতিষ্ঠীত বীরভূমের পাথর ব্যবসায়ী। বীরভূমের পাথর সিন্ডিকেটের বস, পুরোটাই চালায় তিনি। অনুব্রত গ্রেফতার হওয়ার আগে কেন্দ্রীয় এজেন্সির আধিকারিকরা তাঁর বাড়ি সিউড়ি এবং অফিস মহম্মদবাজারে তল্লাশি অভিযান চালায়। স্বাভাবিকভাবেই অনুপমের ফেসবুকে টুলু নাম আসায় বীরভূম রাজনৈতিক মহলে শুরু হয়েছে জল্পনা। রাজনৈতিক
পর্যবেক্ষকদের মতে, বীরভূম বিজেপির জেলা সভাপতি ও দুবরাজপুরের বিজেপি বিধায়ক এবং বীরভূম বিজেপির যুব মোর্চার সহ-সভাপতি সুশোভন চন্দ্র কি টুলুর কাছে লাভবান? এমনই কি ইঙ্গিত দিতে চাইলেন অনুপম? যা নিয়ে বিজেপির অন্দরে শুরু হয়েছে ঠান্ডা লড়াই।